বিবিধ

আইজ্যাক আসিমভ: গ্র্যান্ডমাস্টার অব সায়েন্স ফিকশন

(Last Updated On: )

আইজ্যাক আসিমভ (২ জানুয়ারি ১৯২০—৬ এপ্রিল ১৯৯২) রাশিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক। তাঁকে বলা হয় ‘গ্র্যান্ডমাস্টার অব সায়েন্স ফিকশন’। অর্থাৎ, সর্বকালের সর্বসেরা সায়েন্স ফিকশন লেখক। বিশুদ্ধ সায়েন্স ফিকশনের মাস্টারও বলা হয় তাঁকে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনি আর বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় আকাশচুম্বী সাফল্য তাঁর। সম্পূর্ণ অবাস্তব এক জগৎকে পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার অসামান্য ক্ষমতার দেখা মেলে আসিমভের লেখায়। আসিমভকে সর্বকালের সেরা প্রোফাইলিক লেখক বলা হয়ে থাকে। তাঁর অনেক লেখাই ইতিহাসসমৃদ্ধ। অসংখ্য বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সার্থক লেখক হলেও তিনি ছিলেন প্রকৃতই একজন মানবতাবাদী। বিশ্বখ্যাত সায়েন্স ফিকশনগুলোর জন্য অমর হলেও ফ্যান্টাসি, মিস্ট্রি, হিস্ট্রি, নন–ফিকশন—এমনকি বেশ কিছু হিউমার আর স্যাটায়ারধর্মী লেখাও লিখেছেন আসিমভ।

আইজ্যাক আসিমভের জন্ম ২ জানুয়ারি। তাই প্রতিবছর দিনটিকে ‘বিজ্ঞান কল্পকাহিনি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সে দেশের লাখো সায়েন্স ফিকশন–ভক্ত ব্যাপক আনন্দ ও উত্সাহের সঙ্গে পালন করে দিনটি। ২০১২ সাল থেকে আরও বেড়েছে এর পরিসর। এটি এখন ‘জাতীয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনি দিবস’ নামে পালিত হয়। এ বছর বিশ্বসেরা এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনি লেখকের জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে।

কোনো কোনো লেখক-গবেষকের মতে, সায়েন্স ফিকশন হলো আধুনিক জগতের রূপকথা। প্রাচীন রূপকথাগুলো যেমন মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা থেকে সৃষ্টি, সায়েন্স ফিকশনের ক্ষেত্রে ওই একই কথা বলা যেতে পারে। তবে রূপকথার সঙ্গে সায়েন্স ফিকশনের পার্থক্য হলো, রূপকথা অবাস্তব, অযৌক্তিক কিংবা মানব–মনের কল্পনার মিশ্রণে লেখা। অন্যদিকে সায়েন্স ফিকশন বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে মানব–মনের কল্পনার মিশ্রণে লেখা হয়। দুটোতেই কল্পনা আছে, তবে রূপকথাতে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকে না। আর সায়েন্স ফিকশন বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপরই রচিত হয়ে থাকে, আগামী দিনে যা বাস্তবরূপ লাভ করবে।

আইজ্যাক আসিমভ মাত্র ১১ বছর বয়সে নিজে থেকে গল্প লিখতে শুরু করেন এবং ১৯ বছর বয়সে সেগুলো বিজ্ঞান কল্পকাহিনি পত্রিকার কাছে বিক্রি করতে শুরু করেন।

বিশ শতকে এসে কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের মহাজাগরণ তৈরি হয়। আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হয়ে ওঠে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। দেশ-কাল ও পৃথিবীর সীমা ছাড়িয়ে বিজ্ঞান কল্পকাহিনি পাড়ি জমায় গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, এক সৌরজগৎ থেকে আরেক সৌরজগতে, এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে। আইজ্যাক আসিমভ সেই আধুনিক ধারার জনক। সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস—এমনকি সামাজিক উপন্যাসেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো সায়েন্স ফিকশন লেখক । তাঁর লেখা ‘নাইটফল’ গল্পটি সর্বকালের সেরা সায়েন্স ফিকশনের স্বীকৃতি পেয়েছে।

সোভিয়েত রাশিয়ার মস্কো শহর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি শহর পেত্রভিচে জন্ম আসিমভের। তাঁর পারিবারিক ও বংশীয় উপাধিটি এসেছে রাশিয়ান ভাষার শব্দ (ওজিমিয়ে) থেকে। এটি একধরনের শীতকালীন শস্য, যা তাঁর দাদা চাষ করতেন। অবশ্য এই শব্দের সঙ্গে পিতৃপুরুষ সূত্রে প্রাপ্ত অনুসর্গ যুক্ত হয়ে তবেই আসিমভ শব্দটির উদ্ভব। তিন বছর বয়সে রাশিয়া ছেড়ে মা–বাবার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসেবে চলে যান অাসিমভ। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ব্রুকলিনে বসতি স্থাপন করে তাঁর পরিবার। এ শহরেই কাটে তাঁর শৈশব। এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।

পরিবারের সবাই ইদ্দিশ এবং ইংরেজি ভাষায় কথা বলতেন। এ কারণে আসিমভ কখনোই রাশিয়ান ভাষা শেখেননি। ইদ্দিশ ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই সমান পারদর্শী ছিলেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পড়তে শেখেন অনেকটা নিজে নিজেই। ব্রুকলিন শহরের এক গ্রামার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আট বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান তিনি। ব্রুকলিনে একটি ক্যান্ডি স্টোরের মালিকানা লাভ করেছিল তাঁর পরিবার। সেখানে কাজ করতে হতো পরিবারের সবাইকে। সেখানেই প্রথম সস্তা ও জনপ্রিয় সব পত্রপত্রিকার সঙ্গে পরিচিত হন আসিমভ। পড়তে শুরু করেন সেগুলো।

আসিমভের স্মরণশক্তি ছিল অসাধারণ। অল্প পড়েই অনেক কিছু মনে রাখতে পারতেন তিনি। স্মৃতিশক্তিটা ভালো ছিল বলে ষোলো বছর হওয়ার আগেই পার করেন হাইস্কুলের গণ্ডি। বাবা চেয়েছিলেন ছেলে ডাক্তার হোক। কিন্তু রসায়নবিদ হওয়ার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে আসিমভ পাড়ি জমান কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৩৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক এবং ১৯৪১ সালে লাভ করেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এখান থেকেই ১৯৪৯ সালে করেন পিএইচডি। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফিলাডেলফিলা নেভাল এয়ার এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনে কেমিস্ট হিসেবে কিছুদিন কাজও করেন বিখ্যাত এই লেখক। ১৯৪৫ ও ১৯৪৬—এই দুই বছর তিনি মার্কিন সেনা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁকে, কিন্তু মাত্র ৯ মাস পরই সেখান থেকে সম্মানজনক অবসর গ্রহণ করেন আসিমভ। টাইপিংয়ে বিশেষ দক্ষতার জন্য সেনাবাহিনীতে করপোরাল পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য ১৯৪৬ সালে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের কাজে অংশ নেওয়া থেকে নিজেকে সূক্ষ্মভাবে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে পিএইচডির পর নিউক্লিক অ্যাসিড নিয়ে কিছুদিন গবেষণা করেন আসিমভ। একই বছর বায়োকেমিস্ট্রির ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সা বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে উন্নীত হন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে।

মালোচকদের মতে, ‘ফাউন্ডেশন’ ট্রিলজিই আইজ্যাক আসিমভের সেরা রচনা। আর এই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৬ সালে এটি দ্য ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন কনভেনশন থেকে বেস্ট অল টাইম সায়েন্স ফিকশন সিরিজ হিসেবে হুগো অ্যাওয়ার্ড পান আসিমভ।

আসিমভ মাত্র ১১ বছর বয়সে গল্প লিখতে শুরু করেন। ১৯ বছর বয়সে সেগুলো বিক্রিও করতে শুরু করেন বিজ্ঞান কল্পকাহিনি পত্রিকার কাছে। খুব কম বয়সে লেখালেখির আগ্রহ দেখে ১৯৩৬ সালে বাবা তাঁকে একটি টাইপরাইটার কিনে দেন। আর এই টাইপরাইটারই আসিমভের জীবনের প্রধান সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। দিনে গড়পড়তায় ১২ ঘণ্টা কেটে যেত এটির সান্নিধ্যে। আসিমভ প্রথম সায়েন্স ফিকশনটি লেখেন ১৯৩৮ সালে। গল্পটি নিয়ে সোজা গিয়ে হাজির হন অ্যাসটাউনডিং সায়েন্স ফিকশন পত্রিকার সম্পাদক জন ডব্লিউ ক্যাম্পবেলের কাছে। শুধু সেই গল্পই নয়, আসিমভের টানা ১২টি গল্প তিনি বাতিল করে দেন। অবশ্য গল্প লেখার ব্যাপারে তাঁকে প্রয়োজনীয় উপদেশও দেন। অ্যাসটাউনডিং সায়েন্স ফিকশন পত্রিকার সম্পাদক জন ডব্লিউ ক্যাম্পবেল তাঁর জীবনে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধুও হয়ে যান। ১৯৩৯ সালে অ্যামেজিং স্টোরিজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় আসিমভের গল্প ‘মেরুন্ড অব ভেস্টা’। এরপর থেকেই শুরু হয় সাফল্যের ইতিহাস। ১৯৪১ সালে ‘নাইটফল’ গল্পটি ছাপা হয়। গল্পটিই ঠিক করে দেয় তাঁর ভবিষ্যৎ। প্রকাশের পরপরই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে গল্পটি।

আইজ্যাক আসিমভের প্রথম বই পেবল ইন দ্য স্কাই প্রকাশ পায় ১৯৫০ সালে। একই বছর বেরোয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস আই রোবট। ১৯৫৪ এবং ১৯৫৭ সালে ডিটেকটিভধর্মী দুটো সায়েন্স ফিকশন দ্য কেভস অব স্টিল এবং দ্য নেকেড সান প্রকাশিত হয়। এ সময়ের কাছাকাছি কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলনও প্রকাশ পায়। এগুলো হলো দ্য মার্সিয়ান ওয়ে (১৯৫৫), নাইন টুমরোজ, টেলম অব দ্য নিউ ফিউচার (১৯৫৯), ট্রায়াঙ্গেল (১৯৬১)।

তবে সমালোচকদের মতে, ‘ফাউন্ডেশন’ ট্রিলজিই আইজ্যাক আসিমভের সেরা রচনা। আর এই স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৬ সালে এটি দ্য ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন কনভেনশন থেকে বেস্ট অল টাইম সায়েন্স ফিকশন সিরিজ হিসেবে হুগো অ্যাওয়ার্ড পান আসিমভ। এই ট্রিলজির তিনটি খণ্ড হলো ফাউন্ডেশন (১৯৫১), ফাউন্ডেশন অ্যান্ড অ্যাম্পায়ার (১৯৫২) ও সেকেন্ড অ্যাম্পায়ার ফাউন্ডেশন (১৯৫৩)। ৩০ বছর পর ‘ফাউন্ডেশন’ ট্রিলজিকে সম্প্রসারিত করে ফাউন্ডেশন’স এইজ (১৯৮২) ও ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আর্থ (১৯৮৩) নামের দুটো উপন্যাস লেখেন। এরপর প্রিলিউড টু ফাউন্ডেশন (১৯৮৮) নামে লেখেন আরেকটি বই। এটি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আর্থ-এর ধারাবাহিক নয়; বরং এটি ফাউন্ডেশন-এর আগের কাহিনি। ‘ফাউন্ডেশন সিরিজ’ বিজ্ঞান কল্পকাহিনিতে রয়েছে সাতটি উপন্যাস। সাম্রাজ্যবাদ, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, আন্তনাক্ষত্রিক যুদ্ধ, বিশ্বাসঘাতকতা, মানবিকতা আর ভালোবাসার অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বিশ্ব সায়েন্স ফিকশনের এই অমূল্য সম্পদ।

আসিমভ বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ-সাবলীল ও বিজ্ঞাননির্ভর করে সাধারণ পাঠকের জন্য বোধগম্য করে তুলে ধরেছেন। তাঁর এ ধরনের কিছু বই হলো দ্য রিলম অব নাম্বার্স (১৯৫৯), দ্য ইন্টেলিজেন্ট ম্যান’স গাইড টু সায়েন্স (১৯৬০), দ্য জেনেটিক কোড (১৯৬৩) প্রভৃতি।

কিশোর-কিশোরীদের জন্য তাঁর বইগুলো হলো লাকি স্টার অ্যান্ড ওশেনস অব ভেনাস, লাকি স্টার অ্যান্ড দ্য বিগ সান অব মারকরি ও লাকি স্টার অ্যান্ড দ্য মুনস অব জুপিটার। উল্লেখ্য, লাকি স্টার অ্যান্ড ওশেনস অব ভেনাস বইটিতে ‘লাকি স্টার’ নামের এক নভোচারীর কাহিনি নিয়ে লেখেন আসিমভ।

জীবদ্দশায় পাঁচ শতাধিক বই লিখে গেছেন আইজ্যাক আসিমভ। পাশাপাশি প্রচুর গল্পও লিখেছেন তিনি। সায়েন্স ফিকশন ছাড়াও তিনি ডিটেকটিভ, ফ্যান্টাসিধর্মী গল্পও লিখেছেন। সব মিলিয়ে তিনবার ‘হুগো’ এবং একবার ‘নেবুলা’ পুরস্কার পেয়েছেন আসিমভ।

১৯৯২ সালের ৬ এপ্রিল অসামান্য এই সায়েন্স ফিকশন লেখক ৭২ বছর বয়েসে মৃত্যুবরণ করেন।

আইজ্যাক আসিমভ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন, ‘সত্যিকারের বিজ্ঞান কথাসাহিত্য প্রকৃতপক্ষে অস্তিত্বহীন হতে পারে না। যতক্ষণ না মানুষ বিজ্ঞানের যুক্তিবাদিতা বোঝে এবং তাদের গল্পগুলোর সঙ্গে সম্মানজনকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করে।’ যোগ্যতার বিবেচনায় মহান এই বিজ্ঞানীকে বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখকের মর্যাদা দেওয়া হয়। আসিমভের অসংখ্য ছোট গল্পের মধ্যে ‘নাইটফল’ ১৯৬৪ সালে সায়েন্স ফিকশন রাইটার্স অব আমেরিকা কর্তৃক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান কল্পকাহিনি শীর্ষক ছোট গল্পের সম্মানে ভূষিত হয়। আইজ্যাক আসিমভ পল ফ্রেঞ্চ ছদ্মনামে শিশুদের জন্যও লিখতেন।

আইজ্যাক আসিমভের সবচেয়ে বড় কাজ রোবট নিয়ে। রোবটিকসের বহুল স্বীকৃত তিনটি নীতি তাঁরই দেওয়া। এ ছাড়া তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিরিজ হলো ‘রোবট’ সিরিজ ও ‘গ্যালাক্টিক অ্যাম্পায়ার’ সিরিজ। আন্তনাক্ষত্রিক ‘মানবসভ্যতার স্বপ্ন’ দেখেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি অনেক ছোট গল্প লিখেছেন।

২ জানুয়ারি ২০২০ জন্মশতবর্ষে সায়েন্স ফিকশনের এই মহান আইজ্যাক আসিমভের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর দেখা আন্তনাক্ষত্রিক ‘মানবসভ্যতার স্বপ্ন’–এর দিকেই যেন আমাদের এই অত্যাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছুটে চলেছে।