প্রধান পাতা

আত্মীয় সেজে প্রতারণার ছক আঁকে তারা

(Last Updated On: )

দেড় মাস আগে স্বর্ণ ব্যবসায়ী তপন কুমার ধরের মোবাইলে ফোন করে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ শুরু করেন পম্পি নামে এক নারী। পেশায় একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী হওয়ায় তপনকে এক জোড়া কানের দুল বানিয়ে দেওয়ার জন্য পম্পি তার বাসায় ডাকেন। ঠিকানা অনুযায়ী গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় তপন নগরীর কোতোয়ালির সালাউদ্দিন বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় যান।

সেখানে পম্পির দুই সহযোগী বিকাশ ও রাজেশ আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সহযোগিতা নিয়ে পম্পি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর জামা খুলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় তারা তপনের সঙ্গে থাকা আংটি ও লকেট জোরপূর্বক কেড়ে নেয়।

মূলত নগরীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণার ছক তৈরি করে জোরপূর্বক স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ কেড়ে নিত এই চক্র। তপনের কাছ থেকে নেওয়া আংটি ও লকেটসহ গত শনিবার রাতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পম্পি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শোলাকান্দি এলাকার বাসিন্দা। বিকাশ রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি কয়লার ডিপো চুনার ভাটি এলাকার বাসিন্দা আর রাজেশ মুন্সীগঞ্জ গোয়ালিয়া মান্দা গান্ধীর বাড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা সবাই বর্তমানে নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় বসবাস করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন দোকানমালিক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে। টার্গেট করা ব্যক্তির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। চক্রের নারী সদস্য কল দিয়ে টার্গেট ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে।

একপর্যায়ে টার্গেট করা ব্যক্তি নারীর কথায় পটে গেলে তাকে কৌশলে বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। তারপর নারীর সঙ্গে ব্যবসায়ীর নগ্ন ছবি তোলা হয়। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মারধর এবং টাকা আদায় শেষ হলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিন প্রতারক এর আগে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।