একাদশ গ্লোবাল বাকু কনফারেন্সে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কনফারেন্সে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন ড. ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
`
গ্লোবাল বাকু কনফারেন্সের ভাষণে তিনি প্রতিটি মানুষের উদ্যোক্তা শক্তিকে বিকশিত করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্পদ কেন্দ্রীকরণের বিপরীত প্রবাহ সৃষ্টি করতে এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কমিউনিটিগুলোকে নিজ নিজ সমস্যার সমাধানকল্পে ক্ষমতায়িত করার আহ্বান জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার পথিকৃত হিসেবে এই দুটি ক্ষেত্রে তার বিপুল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি তিন শূন্য – অর্থাৎ শূন্য নীট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৃথিবীকে পুনর্গঠিত করতে উদ্ভাবনমূলক সমাধান ও সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের ওপর জোর দেন।
সম্মেলনের সময় প্রফেসর ইউনূস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেডরস আধানম গেবরেইসুস এবং ইউনিএইডস- এর নির্বাহী পরিচালক ও জাতিসংঘের অন্যতম আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. উইনি বিয়ানইমার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন।
এ বৈঠকগুলোয় তারা মহামারী পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা এবং মাঠ পর্যায়ের অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও প্রফেসর ইউনূস রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডির সঙ্গে ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী গড়ে তুলতে ইউনূসের রূপকল্প নিয়ে ফায়ারসাইড চ্যাটে অংশ নেন।
আজারবাইজানের বাকুতে গত ১৪-১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত এই একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামের মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘ফিক্সিং দ্য ফ্র্যাকচার্ড ওয়ার্ড’।
উল্লেখ্য, ফোরামে বিশিষ্ট নেতা ও নোবেল লরিয়েটদের উপস্থিতি পৃথিবীর সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জগুলো যেমন দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবায় অধিকার, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমন্বিত কর্মপ্রচেষ্টার গুরুত্ব বহন করে।