বয়স হয়ে গেছে ৯০ বছর। তবু মহাকাশভ্রমণের ইচ্ছা বিন্দুমাত্র কমেনি কানাডার নাগরিক উইলিয়াম শ্যাটনারের। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মার্কিন বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের মহাকাশভ্রমণ সংস্থা ব্লু অরিজিন থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন প্রখ্যাত এ অভিনেতা।
উইলিয়াম শ্যাটনার খ্যাতি অর্জন করেছিলেন স্টার ট্রেক সিরিজে ইউএসএস এন্টারপ্রাইজের ক্যাপ্টেন জেমস টি কার্কের নামভূমিকায় অভিনয় করে। এবার ১১ মিনিটের এ যাত্রা সফলভাবে শেষ হলে তিনি হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী মহাকাশযাত্রী।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ব্লু অরিজিনের রকেট নিউ শেপার্ডের দ্বিতীয় মহাকাশযাত্রায় শ্যাটনারের সঙ্গে আরও তিন যাত্রী থাকবেন। ব্লু অরিজিন জানাচ্ছে, কোম্পানিটির মিশন অ্যান্ড ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অড্রে পাওয়ার্স এবং নাসার একজন সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মহাকাশভ্রমণে উইলিয়াম শ্যাটনারের সঙ্গী হয়েছেন।
আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস গত জুলাই মাসে নিউ শেপার্ডের প্রথম মহাকাশভ্রমণে যাত্রী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাঁর ছোট ভাই মার্ক বেজোস। ৫৩ বছর বয়সী মার্ক নিউইয়র্কভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান রবিন হুডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া বিশ্বের প্রথম দিককার বিমানচালক ৮২ বছরের ম্যারি ওয়ালেচ (ওয়্যালি ফাঙ্ক নামে সমধিক পরিচিত) এবং নেদারল্যান্ডসের একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও জোয়েস ড্যামেনের ১৮ বছরের ছেলে ওলিভার ড্যামেন। ওয়্যালি ফাঙ্ক ছিলেন এত দিন সবচেয়ে বেশি বয়সী মহাকাশযাত্রী। এবার তাঁকে ছাড়িয়ে যাবেন শ্যাটনার।
শ্যাটনার বলেন, তাঁর কাছে মনে হচ্ছে ফ্লাইটের সবচেয়ে কঠিন অংশ হচ্ছে সিটে উঠে বসা এবং সেখান থেকে বের হওয়া। তবে ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিতে এই বিশেষভাবে মহাকাশযানের নকশা করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার এই মহাকাশযাত্রা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু বাতাসের কারণে তা একদিন পেছানো হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের তথ্য মতে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেস এক্স ও আমাজনের জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মধ্যে শুরু হয়েছে মহাকাশ পর্যটনের প্রতিযোগিতা। ব্লু অরিজিনের রকেট নিউ শেপার্ড মহাশূন্যভ্রমণের নতুন বাজারের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। অ্যালান শেপার্ড নামের এই ক্যাপসুলটি এবার নিয়ে মোট ১৮ বার মহাকাশে যাত্রা করল। খবর প্রথম আলোর।