ভারতের উপহার দেয়া কোভিশিল্ড নামের ভ্যাকসিন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের টিকা আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগেই ভারত জানিয়েছিলো, ২০ লাখ ডোজ টিকা বিনামূল্যে বাংলাদেশকে উপহার দেবে তারা।
ধারাবাহিকভাবে দেওয়া হবে এ ভ্যাকসিন। তবে সবাই এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন না। ভ্যাকসিন গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। কারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না, কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; তা জানতে হবে আগে। আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-
১. যেকোনো একটি সংস্থার ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। টিকার প্রথম ডোজ যে সংস্থার হবে, দ্বিতীয় ডোজটিও একই সংস্থার হতে হবে।
২. গর্ভবতী বা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, এমন মায়েদের ভ্যাকসিন আপাতত দেওয়া যাবে না।
৩. আঠারো বছরের কম বয়সীদের ওপর এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই তাদের দেওয়া যাবে না।
৪. কোনো ওষুধ, খাবার বা ভ্যাকসিনে যাদের অ্যালার্জি আছে, তাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
৫. যাদের করোনা হয়েছে বা যারা এমনিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠার ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ পর টিকা নেন।
৬. যাদের রক্তক্ষরণ বা রক্তজমাট বাধার রোগ আছে, তারা খুব সতর্কভাবে টিকা নেবেন।
৭. যদি কেউ অন্য রোগের জন্য টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই টিকার সঙ্গে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার সময়ের দূরত্ব ১৪ দিন হতে হবে।
৮. দু’টি টিকা নেওয়ার পর টিকা দেওয়ার সেখানটা ফুলে যাওয়া, ব্যথা করা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, শিহরণ, বমি, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি হলে প্যারাসিটামল নিতে বলা হয়েছে।
৯. শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্য একাধিক ওষুধ যারা খান, তাদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে নিষেধ করা হয়েছে।