ইরানে জনৈক ব্যক্তিকে শাস্তি হিসেবে চোখ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তেহরানের আদালত। আরেকজনের চোখ অন্ধ করে দেওয়ার অপরাধে চোখের বিনিময়ে চোখ ইসলামিক নীতির আওতায় এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ইরান ওয়্যার এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
ইরানের ইসলামী নীতি কিসাস অনুসারে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের একইভাবে প্রতিশোধ নেওয়া হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিবেশীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির তুমুল বাগবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর ফলে এক চোখ হারান তার ওই প্রতিবেশী।
চোখের বিনিময়ে চোখ তুলে নেওয়ার প্রথা ইরানে আগে চালু থাকলেও এখন তা অনেক কম দেখা যায়। ২০১৬ সালে একজন ব্যক্তির দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায় তার চার বছর বয়সী ভাতিজি চোখে চুন ছুড়ে মারার কারণে। এরপর ওই ছোট বাচ্চারও চোখ তুলে নেওয়া হয়।
ইসলামী শরিয়াহ আইন অনুযায়ী ইরানের আইন পরিচালিত হয়। ইরানের এই ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিকবার মানবধিকার সাহায্য সংস্থার সমালোচনার শিকার হয়েছে দেশটির আইন। গেল ফেব্রুয়ারিতে মানসিকভাবে অসুস্থ হাদি বোস্তামির শাস্তি বাতিলের আবেদন জানায় সংস্থাটি।