নাইমুর রহমান দুর্জয়, একই সঙ্গে সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক। ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতি ও ক্রিকেট উন্নয়নে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিসিবিতে বেশ সফলতার সঙ্গেও কাজ করে গেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এবার বিসিবির আরও একটি নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি।
ক্যাটাগরি-১ এর ঢাকা বিভাগের প্রার্থী হওয়ায় দুর্জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন চারজন। সেখানে ১৭ কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন দুজন। যেহেতু ঢাকা বিভাগ সেহেতু চাপ তো থাকছেই। দুই ধরনের নির্বাচনে অভ্যস্ত দুর্জয়ের কাছে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বিসিবি নির্বাচনটা কিছুটা কঠিনই লাগে
চার হেভিয়েট প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচন।-ফলে কোন টেনশন কাজ করে কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় তো কিছু টেনশন কাজ করেই। ইলেকশন করলে আসলে রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত তো কিছুটা টেনশন কাজ করেই।’
রাজনীতির মাঠে যেহেতু আছেন, মূলধারার রাজনীতি করেন, বিসিবিতেও নির্বাচন করেছেন, নির্বাচনে দুটা আভিজ্ঞতা আছে, আপনার কাছে কোনটা বেশি শক্ত বলে মনে হয় এমন প্রশ্নে দুর্জয় বলেন, ‘আসলে আমার কাছে যা মনে হয় যত কম ভোটের নির্বাচন তত বেশি শক্তি। কারণ আমি যেটা ফিল করি যে, আমি দুটা ইলেকশন করি একটা প্রায় চার লাখ ভোটের, আরেকটা ১৭ ভোটের। আমার মনে হয় যে এটা (১৭ ভোটের) একটু টাফ।’
‘দুটাই মানুষের রিয়েকশন, বা নিজে কি কাজ করলাম, মানুষের জন্য কতটা করলাম, সেটার ফলাফল জানতে চাইলে আসলে নিজের মূল্যায়নের জন্যই ইলেকশন করা’, যোগ করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
একসময় জাতীয় দলের নিয়মতি খেলোয়াড় ছিলেন। খেলার আগের দিন আর নির্বাচনের আগের দিনের নার্ভের অবস্থা কেমন থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক্সাইটমেন্ট তো কাজ করেই। আর ভোট আসলে এমন একটা জিনিস যে মানুষ লাস্ট মোমেন্ট পর্যন্ত চিন্তা করে, আর খেলার মাঠের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে আগে থেকে প্রিপারেশনের একটা ব্যাপার থাকে, প্রি প্ল্যান থাকে, খেলা নিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা থাকে। তবে নির্বাচনে আপনার ধারণার উপর কিছু নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করছে ভোটাররা কি ভাবছে, তারা কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চিন্তাভাবনা করে। বুথের ভেতরে গিয়েও অনেক সময় সিদ্ধান্ত বদলায়। একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে তো থাকতেই হয়।’