বগুড়ার আদমদীঘিতে জেসমিন আক্তার নামের দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ মণ্ডল। আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমায়।
জানা যায়, আদমদীঘি নসরৎপুর ইউপির লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা রেখে বিদেশে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানির বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। শাওইল দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে জেসমিন। দুই বছর আগে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ শুরু করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে ছিল। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে এখন ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মন্ডল। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।
সম্প্রতি ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালে ডাক্তার সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদে কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জুবায়েদ মন্ডলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ পুরুষের হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হয়েছে। সাধারনত ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এমনটি হয়ে থাকে।