উদযাপনের বছরকে সামনে রেখে দুদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৭ মার্চ ঢাকায় একটি শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এদিকে, আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের যৌথ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার ২৭ মার্চ ঢাকায় শীর্ষ বৈঠকের আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চারটি সচিব-পর্যায়ের বৈঠক করবে বাংলাদেশ ও ভারত।
দুদেশের পানিসম্পদ সচিবদের মধ্যে বৈঠকটি নয়াদিল্লিতে এবং বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং নৌপরিবহন সচিব পর্যায়ের আলোচনা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে শীর্ষ সম্মেলনের বৈঠকে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া চার থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক নিয়ে কাজ করছে উভয় দেশ এবং সচিব-পর্যায়ের চারটি বৈঠক থেকে আসা সুপারিশের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক দলিলের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নয়াদিল্লি সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন।
দিল্লিতে সচিব পর্যায়ের আলোচনায় এবারও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোমেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন। নির্বাচনের সময়ে এগুলো করা কঠিন। যেহেতু মার্চে নির্বাচন, এই সময়ে করা সম্ভব নয়। সেদিক থেকে একটা চ্যালেঞ্জ আছে।
আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইলেকশন হবে। কিন্তু আমাদের চাওয়ার জায়গাটা যদি অপূর্ণ থেকে যায় তাহলেও হতাশাও আসে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা আশাবাদী থাকতে চাই। আমরা বলেছি, দেখো আমাদের দেশে এটা সবার মধ্যে প্রত্যাশা থাকে, যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। আমরা তাদের এও বলেছি, আমি দেশে গেলেও কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রথম (প্রশ্ন) করবেন। এটা যেহেতু প্রোট্র্যাক্টেড ইস্যু। এটা চট করে কিছু বলে দিবে, নেগেটিভ কিছু বলবে তাও না। তারা পরিমিত পথে কথা বলেছে। তাতে করে তারা যে আন্তরিক না, সেটা বোঝা যায় নাই। কিন্তু আমরাও আমাদের পয়েন্টটা শক্ত করেই বলেছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও ছিলেন আমন্ত্রিত। করোনাভাইরাস মহামারী রূপ নেওয়ায় পরে ওই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়, বিদেশি অতিথিদেরও আসা হয়নি। তবে এরপর ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।