খেলা

ঢাকা টেস্ট: ৪০৯ রানে থামলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

(Last Updated On: )

ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে চারশ রান পেরিয়ে থামলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪২.২ ওভারে ক্যারিবীয়রা করেছে ৪০৯ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে জশুয়া ডা সিলভার ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ৯২ রান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ দেখেশুনে এগোয় ক্যারিবীয়রা। তবে তাদের মনোসংযোগে চিড় ঘটাতে চেষ্টা কম করছেন না বাংলাদেশি বোলাররাও।

তবে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান করার পর ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সেই সাথে এ টেস্টে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ।

প্রথম সেশনের দেড় ঘণ্টা পর এক উইকেট নিলেও মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে উইকেট পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি টাইগাররা। মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে একাদশে জায়গা নেওয়া আবু জায়েদ রাহি সফরকারীদের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন।

রাহির বেরিয়ে যাওয়া এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে বল উইকেটে টেনে এনেছেন শায়ানে মোসলে। হয়েছেন বোল্ড। ৩৮ বল খেলে অনেকটাই সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ৭ রানের বেশি এগোতে পারলেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপর পুরো টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে যাওয়া ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে অবশেষে তুলে নেন সৌম্য সরকার। পার্টটাইমার এই পেসারকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ হয়েছেন তিনি।

ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট সাজঘরে ফিরলে মাঠে আসেন চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়া কাইল মায়ার্স। ব্যক্তিগত মাত্র ৫ রানেই স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারের ক্যাচে তাকে ফেরান ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ রাহি।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬২ রান করে এগিয়ে যাচ্ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এনক্রুমাহ বোনার ও জারমেইন ব্ল্যাকউডের এই জুটি ভেঙে টাইগার শিবিরে স্বস্তি এনে দিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের এক ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ফিরতি ক্যাচ দেন ব্ল্যাকউড। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানের ৭৭ বলে ২৮ রানের টেস্ট মেজাজের ইনিংসটি থেমেছে তাতেই।

প্রথম দিনের ৫ উইকেটে তোলা ২২৩ রান নিয়ে খেলতে নামা বোনার আর জশুয়া আজ সকালে ৫২ মিনিটে আরো ৪৩ রান যোগ করলে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৮ রানের দারুণ এক পার্টনারশিপ পায় ব্র্যাথওয়েটের দল। সেটাই ক্যারিবীয়দের সামনে এগিয়ে যেতে রাখলো বড় অবদান। দিনের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়েছেন বোনার। ২০৯ বলে ৭ চারে ৯০ রান করে মোহাম্মদ মিথুনের ক্যাচ হন। তাতে ভাঙে জশুয়া ডা সিলভার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি।

এরপর জশুয়া ডা সিলভাকে সেঞ্চুরি থেকে অল্প একটু দূরে থাকতে আউট করলেন টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাকে ৮ রানের আক্ষেপে রেখে বোল্ড করেন তিনি। তাতে দেশের মাটিতে শততম টেস্ট উইকেটটি শিকার করলেন এ স্পিনার।

১৮৭ বলে ১০ চারে ৯২ রান করেন ডা সিলভা। আর সপ্তম উইকেটে আলজারি জোসেফকে নিয়ে ১১৮ রানের জুটি গড়েন, যা উপমহাদেশে ভারতের বাইরে তাদের সর্বোচ্চ। এর আগে ভারতের বাইরে তাদের সপ্তম কিংবা নিচের দিকের উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিলো ৮১ রানের।

কিছু সময় পর ক্যারিবীয় শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন টাইগার বোলার আবু জায়েদ রাহী । তার বলে লিটন দাশের কাছে ক্যাচ হওয়ার আগের দুই বলে ৬ ও ৪ হাঁকান আলজারি জোসেফ। ১০৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ছিলো তার ৮২ রানের গতিময় ইনিংস। রাহী তার পরের ওভারে ওয়ারিকানকেও একইভাবে মাঠছাড়া করেন। মাত্র ২ রান করে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ক্যাচ দেন লিটনকে। তবে এর মধ্যে ৪শ ছাড়িয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে চারটি করে উইকেট নিয়ে সফল বোলার রাহী ও তাইজুল।