হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক তৃতীয় বিয়ের দাবি করেছেন। গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গেও এক বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে বলে মামুনুল হক ওই নারীর ভাই শাহজাহান সাজুর কাছে দাবি করেন।
এই নারীর সঙ্গে গত এক বছর আগে মাওলানা মামুনুলের বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহান। শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় তাকে ডেকে নিয়ে এই তথ্য জানান মামুনুল হক।
এ হিসেবে মাওলানা মামনুলের কথিত স্ত্রীর সংখ্যা হবে দুইজন। জান্নাতুল ফেরদৌস হবে মামুনুলের তৃতীয় স্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহান সাজু বলেন, মামুনুল সাহেব শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় আমাকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানেই তিনি আমার বোনকে বিয়ের কথা জানিয়েছন। বলেছেন, ২০২০ সালে তিনি আমার বোনকে বিয়ে করেন। এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন।
এদিকে, তৃতীয় বিয়ের বিষয়ের মন্তব্য জানতে একাধিকবার মামুনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করার সময় এই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মামুনুল হকের। ওই পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। আড়াই বছর আগে ওই নারীর ডিভোর্স হয়। এরপর ওই নারীকে কেরানীগঞ্জের একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সূত্র জানায়, আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার ক্ষেত্রে মামুনুল হক ভূমিকা রেখেছেন। ওই নারীকে ডিভোর্স করিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় রাখেন। ওই বাসায় মাঝে মধ্যেই যাতায়াত করতেন মামুনুল হক।
জানা গেছে, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের এই নারীকে মামুনুল হক তার বড় বোন দিলরুবার মোহাম্দপুরের বাসায় রেখেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান আত্মীয়-স্বজনরা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে জনতার হাতে মামুনুলের সঙ্গে অবরুদ্ধ হন ঝর্ণাও। তখন ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল। যদিও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে মামুনুলের ওই দাবি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।