বহুকাল আগে থেকেই মুখের যত্নে, চুলের যত্নে, এমনকি শরীরের যত্নে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। শীত মৌসুমে অতিরিক্ত ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য মধু খাওয়া হয়, মধু শরীরে তাপমাত্রা বাড়িয়ে গরম ধরায়। শুধু তাই নয়, রূপ চর্চাতেও মধু যথেষ্ট উপকারী।
মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও, চুলের রঙ গাড় করতে, চুল মজবুত করতে মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, মুখের দাগ দূর করতেও মধুর যাদুকরী ভূমিকা রয়েছে। বাজারে পাওয়া যায় এমন সকল দামি যে কোন দাগ দূর করার প্রসাধনীর থেকে মধু খুব বেশি কাজ করে। মধুতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ত্বকের যে কোন দাগকে অনেকটাই কমিয়ে আনে।
তবে অনেক বড় কোনো ক্ষতের দাগ মধু দূর করতে সক্ষম নয়। কিন্তু ছোট যে কোনো দাগ যেমন ব্রণের দাগ মধু ব্যবহারে কমে যাওয়া সম্ভব।
মধু প্রতিদিনের নিয়মিত ব্যবহারে দাগ গুলো ক্রমেই কমে আসে। এছাড়া প্রতিদিন রাতে দাগের পাশে পাশে মধু লাগানোটা উত্তম। কিন্তু কাঁচা মধু মাখতে অনীহা হলে বিভিন্ন ধরনের ফেস মাস্ক হিসেবেও মধু ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে, মধু, চন্দন, এবং কফির একটি ফেস প্যাক বানানো সম্ভব। এক চামচ চন্দন পাউডারের সাথে অর্ধেক চামচ কফি পাউডার এবং প্রয়োজনমতো মধু নিয়ে খুব ঘন না এবং পাতলাও না এমন একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। রাতে ভাল মতো মুখ টা পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং মুখে কোন প্রকার তেল থাকা যাবে না। তারপর তা মুখে আধা ঘণ্টার মতো মেখে থাকতে হবে। আধা ঘণ্টা পরে হাতে হালকা পানি নিয়ে মুখ ভাল মত ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
অতঃপর যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। মুখে সব ধরনের ফেস প্যাক লাগালেই অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বক আরও বেশি নমনীয় এবং মসৃণ হবে। দাগ দূর করতে চন্দনেরও ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক এবং কফি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।