ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী বিক্ষোভ কেন্দ্র করে জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা থানাসহ সরকারি দপ্তরে হামলা চালালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে
ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে মাদ্রাসাছাত্ররা। জেলা জজ, ডিসি, এসপির বাসভবন, জেলা পরিষদ কার্যালয়ে হামলা ছাড়াও রেলস্টেশন ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টাঙানো ব্যানার ফেস্টুনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিকালে এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেনি। বায়তুল মোকাররম এলাকায় মোদিবিরোধীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে, গতকাল বিভিন্ন স্থানে তা-ব চালানোর পর আজ শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ, আগামীকাল রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল রাত ৮টায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, কাউকে হরতাল করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তা-বের বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হাটহাজারিতে নিহতরা হলেন মোহাম্মদ মাসুম (২৩), রবিউল ইসলাম (২৬), মিরাজুল ইসলাম (২৪) ও সোবহান আহমেদ (৪০)। প্রথম তিনজন হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের (হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা) ছাত্র এবং অন্যজন স্থানীয় বাসিন্দা। হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা হেফাজতে ইসলামের প্রধান কেন্দ্র।
স্থানীয় সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চারজনের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্রদের হামলায় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার প্রবীর ফারাবি ও হাটহাজারী থানার এসআই মাহাদি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিকালে হাটহাজারী হয়ে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। এ ছাড়া র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও হাটহাজারী আসেন। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হামলার আশঙ্কায় উপজেলা কর্মকর্তারাও থানায় আশ্রয় নেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির এএসআই শিলব্রত বড়–য়া আমাদের সময়কে বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে আনা হয়। এদের মধ্যে চারজনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অন্যরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দিন বলেন, নিহতরা সবাই গুলিবিদ্ধ।
শিক্ষানবিশ এএসপি হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত ডাকবাংলোতে থাকতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, তাকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে পেটানো হয়। এ ছাড়া হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে অবস্থিত ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সরকারি গাড়িটিও পুড়িয়ে দেয় হেফাজত কর্মীরা। হেফাজত কর্মীরা সোলায়মান নামে পুলিশের বিশেষ শাখার এক সদস্যকে মাদ্রাসার সামনে একটি দোকানে আটকে রাখে।
নরেন্দ্র মোদির আগমন ও বায়তুল মোকাররমের সামনে সংঘর্ষের প্রতিবাদে জুমার নামাজের পর হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কয়েক হাজার শিক্ষক ও ছাত্র মিছিল বের করেন। মিছিলটি থানার সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ছাত্ররা থানা লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুড়ে মারলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে বলে হেফাজত নেতাদের দাবি। হেফাজতে ইসলামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ ইদ্রিস আমাদের সময়কে বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করে। তাতে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার তিন ছাত্র এবং একজন এলাকাবাসী নিহত হন।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় হেফাজতের কর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি পিস্তল ও একটি শটগান খোয়া গেছে। তবে ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, একটি পিস্তল খোয়া গেছে।
সংঘর্ষের সময় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মাদ্রাসায় ছিলেন না। হেফাজতে ইসলামের আমির ও হাটহাজারী বড় মাদ্রসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরীকে করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী এনামুর রহমান ফোন ধরেন। তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কেন কারা মিছিল বের করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুপুর থেকে সংঘর্ষ শুরু হলেও তা থেমে থেমে সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মাদ্রাসার ভেতরে ও বাইরে মাইক দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। হাটহাজারী থানা থেকে মাদ্রাসার দূরত্ব প্রায় ২০০ গজ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরজুড়ে তাণ্ডব
দুপুর আড়াইটায় শহরের প্রধান সড়ক টিএ রোডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার কয়েক হাজার ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা শহরজুড়ে তা-ব চালালেও পুলিশ প্রশাসন ছিল দর্শকের ভূমিকায়।
কওমি মাদ্রাসাটির ছাত্ররা প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে তারা রেলস্টেশনে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেলস্টেশনের সিগন্যাল, মাস্টার রুম, কন্ট্রোল রুম অন্যদের কর্মকর্তাদের কক্ষ ব্যাপক ভাঙচুর করে। মালামাল একত্রিত করে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেললাইনের সিøপার তুলে ফেলে তারা। সিগন্যাল বক্স ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জেলা পরিষদ কার্যালয় বিকাল সোয়া ৫টার দিকে হামলা চালানো হয়। শহরের কাউতলী, ভাদুঘরেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে রাস্তায় অবরোধ করা হয়। শহরের জেলা পরিষদ, পৌর মুক্তমঞ্চ, পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা ও ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্ররা। শহরের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। থানার আশপাশে এ তা-ব চললেও পুলিশ থানা ছেড়ে বের হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক সময় বিক্ষুব্ধরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা জজের বাসভবনের মূল ফটকে হামলা চালায়। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে গ্যারেজে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা ভবনের নিচতলার জানালা।
বিকালের দিকে আশিক (২৫) নামে আহত এক যুবককে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, আশিককে মৃত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসাছাত্ররা লাশ ছিনিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। আশিক কীভাবে মারা গেলেন তা জানা যায়নি। তবে তিনি মাদ্রাসাছাত্র ছিলেন না বলে জানা গেছে। তিনি শহরের কাউতলী এলাকার দাতিয়ারা গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও এসপি আনিসুর রহমান ও সদর থানার ওসি আবদুর রহিম জানিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টা তা-ব চললেও পুলিশ কোনো গুলি ছোড়েনি। কেউ নিহত হয়েছেন এমন তথ্য জানেন না বলে জানান এসপি। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরে আলম, পুলিশ সদস্য সহ ২০ জন আহত হয়। সন্ধ্যার পর সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। সারাশহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররমে পাথর হাতে মুসল্লি জুমার নামাজ শেষে মোদিবিরোধীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মোদিবিরোধীরা সেøাগান দেওয়ার খানিক পরই ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মসজিদের উত্তর পাশের ফটকে মিছিলকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে তারা মিছিলকারীদের মারধর করেন। এতে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। পরে বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হয়ে পাল্টা ইট পাটকেট নিয়ে হামলা চালান। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। বেলা পৌনে ২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ দফায় দফায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। বায়তুল মোকাররমের পার্শ্ববর্তী প্রতিটি গলিতে লাঠি ও ইট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের লোকজনকে অবস্থান করতে দেখা যায়। পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, হাইকোর্ট মোড় এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৪২ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। শতাধিক জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ মসজিদের সামনে ও গলি থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
বিকালে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বায়তুল মোকাররম মসজিদে যান। তিনি গিয়ে কথা বলার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানা গেছে। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এলাকা পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করেন।
সংঘর্ষ চলাচকালে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে থাকা সাতটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ভেঙে ফেলা হয় কিছু ক্ষুদ্র দোকানির শেষ সম্বল। বিল্লাল নামে এক তরুণকে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি জানান, ঋণের টাকায় বাইক কিনেছিলেন। অ্যাপে চালিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতেন। জুমার নামাজ পড়ার জন্য এখানে মোটরসাইকেল রেখে মসজিদে ঢুকে ছিলেন। বের হয়ে দেখেন মোটরসাইকেলটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সাধারণ মুসল্লিরা অভিযোগ করেন, বায়তুল মোকারমে সংঘর্ষ হতে পারে এমন ধারণা আগে থেকেই ছিল। কিন্ত পুলিশি তল্লাশি করে ঢুকানো হয়নি। সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে কিছু লোককে পাথর ও লাঠি হাতে দেখা যায়।
ব্রাহ্মণাড়িয়ার একটি মাদ্রাসা থেকে আসা কিশোর হাফিজুর রহমান জানায়, মুরব্বিদের নির্দেশে সে বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে এসেছে। সে বলে, মুরব্বিরা আমাদের মারামারি করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মুসল্লিরা নামাজ পড়া শেষে কিছু মুসল্লি ব্যঙ্গাত্মক আচরণ শুরু করেন। তাদের বাধা দেন কিছু মুসল্লি। ফলে মুসল্লিদের মধ্যেই সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ভেতরে যেতে শুরু করলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে পুলিশসহ অন্য মুসল্লিরাও আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। কারা এমন করেছে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, যারা মুলত রাষ্ট্রের মর্যাদা চায় না, তালেবান রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়।
সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কাজল।
জামায়াতে ইসলামের বিবৃতি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুুলিশের গুলিতে ৭ জন নিহত ও শতশত মুসল্লি আহত হয়েছেন দাবি করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রামে ৪ জন, ঢাকায় দুজন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক নিহত হয়েছে।