আন্তর্জাতিক

দুঃস্বপ্নের চোরাবালিতে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

(Last Updated On: )

অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে পাড়ি জমানো মানুষগুলো এখন দুঃস্বপ্নের চোরাবালি থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজছেন। মালয়েশিয়ায় চলমান কঠোর লকডাউনে ঘরে বসে থাকা অনেকে বেকার সময় পার করছেন। চলমান সময়ে বহুমাত্রিক সংকটে তাদের সবারই এখন আয়ের পথ বন্ধ। অর্থ সংকটে আর মহামারি আতঙ্কে চারিদিক  ঘিরেই যেন অন্ধকার নেমে আসছে। এদিকে দেশে থাকা অনেক প্রবাসী শ্রমিকের পরিবারেও নেমে এসেছে দুর্দশা।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর  শহরে থাকেন মালেক মিয়া। প্রায় চার বছর ধরে দেশটিতে থাকলেও পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে বৈধ ভিসা থাকলেও কাজ হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন।  তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরা লাগবো। দেশে টেহা (টাকা) পাঠাইতে পারিনা, ফোনে কথা কইতেও লজ্জা করে।

কুমিল্লার সাগর, জহুর বারু রাজ্যের তামান ডায়াতে থাকেন ক্ষোভ প্রকাশ করে সে বলেন, ভাই কি কইতাম লক ডাউন এর জইন্যে বাজার ঘাট সব বন্ধ। রান্না বান্না করতাম! কেমনে করতাম? দোকন পাটে যাইতে গেলে এক করোনার ভয় অন্য দিকে পুলিশের ভয়। আল্লাহ কবে যে মুক্তি দিব।

কুয়ালালামপুর ও মালাক্কা এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী টাঙ্গাইলের এহসানুল হক বাবু বলেন, এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না। আয় নেই যা পুঁজি ছিল সব শেষের দিকে। ইচ্ছে করে ব্যবসা বন্ধ করে দেশে ফিরে যাই। 

ওয়াসীস ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র ও মালয়েশিয়ার বাংলাদেশী ছাত্র নেতা মোবারক আকন্দ বলেন, আমরা যারা অনলাইন নির্ভর চাকরি করি তারা বেশ ভালই আছি।  কিন্তু যারা অন্যান্য সেক্টরে কাজ করে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের যৌথ ভূমিকা কামনা করছি।

অন্যদিকে, কঠোর লকডাউনেও চলমান রয়েছে ধরপাকড় অভিযান।  দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদিন স্থানীয় গণমাধ্যমে বলছে, চলমান লকডাউনের মধ্যেও অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের ধরপাকড় অব্যাহত থাকবে। জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (এনআরডি) ও পুলিশদের সঙ্গে যৌথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে অভিবাসন বিভাগ। 

একে তো কাজ নেই, তার ওপর ধরপাকড় অব্যাহত থাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মধ্যে।