প্রধান পাতা

নারীরা কাজী হতে পারবে কিনা, হাইকোর্টের রায়ে জাসদের ‘বিস্ময়’

(Last Updated On: )

নারীরা বিয়ের রেজিস্ট্রার তথা কাজী হতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, হাইকোর্টের রায় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

জাসদ নেতারা বলেন, রাষ্ট্র লিঙ্গের ভিত্তিতে পুরুষ ও নারীর মধ্যে কোনো বৈষম্য করতে পারে না।

আপিল বিভাগের ফুলকোর্ট গঠন করে হাইকোর্টের দেওয়া সংবিধান বিরোধী এই রায় পর্যালোচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া পৌরসভার আয়েশা সিদ্দিকা ফাজিল পাস। নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে তিনি নিয়ম মেনেই আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষাও দিয়েছেন। পরীক্ষায় তিনি হয়েছিলেন প্রথম। তারপরও তার নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়ার পথ আদালতের রায়ে আপাতত বন্ধ। আপাতত বলা হচ্ছে, এ কারণে যে হাইকোর্টই শেষ আদালত নয়। এরপর আপিল বিভাগ আছে। এরইমধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ফাইল করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনজন মহিলার নাম প্রস্তাব করেন উপদেষ্টা কমিটি। তিন সদস্যের ওই প্যানেলের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এরপর ২০১৪ সালের ১৬ জুন আইন মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের দ্বারা নিকাহ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়’ মর্মে চিঠি দিয়ে তিন সদস্যের প্যানেল বাতিল করে।

পরে আইন মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নিকাহ রেজিস্ট্রারের প্যানেলের এক নম্বর ক্রমিকে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

শুনানি শেষে জারি করা রুলটি খারিজ করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। এর ফলে বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবে না মর্মে আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।