জাতীয়

‘নৌকা-ধানের শীষ না থাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে’

(Last Updated On: )

বিএনপির মেয়র প্রার্থী বাদ পড়েছেন বাছাইপর্বে, আর কোনও প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাই মেয়র প্রার্থীর ভোট নিয়ে উদ্বেগ না থাকায় কাউন্সিলর পদের ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। এ চিত্র বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ পৌরসভায় বিরতিহীন ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।

স্থানীয়রা বলেছেন, বিগত ২০ বছরে তারা এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পৌরসবা নির্বাচন কখনও দেখেননি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, এজেন্ট, কর্মী-সমর্থক, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ ভোটাররা সবাই এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন দেখে খুশি। তারা বলছেন, ‘নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী না থাকায় এমন নির্বাচন হয়েছে।’

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ভোটার আবু-হানিফ জানান, এমন সুন্দর নির্বাচন গত ২০ বছরেও দেখিনি। ভোটাদের মাঝে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। কেনো এমন নির্বাচন হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নৌকা-ধানের শীষ না থাকায় এমন ভোট হয়েছে।’

বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের সাথে কথা বললে, তারাও এমন মন্তব্য করেন।

২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ওলিউর রহমান ওলি ও রফিকুল ইসলাম মাসুমসহ অন্য প্রার্থীরা জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এমন নির্বাচনই তারা চেয়েছিলেন। যে ভোটারদের ভোটে জিতবে তাকেই তারা কাউন্সিলর হিসেবে মেনে নেবেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক রিপন জানান, সকাল থেকেই সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে পৌরসভার ভোটাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে।

মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৩ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মাহিলা ওয়ার্ডে ১২জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৯টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৫শ’ ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৮৬ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৪শ’ ১৪ জন নারী ভোটার।

এর আগে মোরেলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই নিয়ে তিনি চারবার মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন।

মোরেলগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারে তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে মোট ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়াও র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।