জাতীয়

প্রতারণার টাকায় অট্টালিকা

(Last Updated On: )

সবুজ গাছগাছালি ছাড়িয়ে সাদা চকচকে অট্টালিকা। চোখে পড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকেও।

অট্টালিকার সামনে সুইমিংপুল ও বিশাল গাড়ি পার্কিং। পাঁচতলা অট্টালিকার ভেতরেও রাজকীয় জৌলুস। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রাসাদোপম ভবনটির মালিক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।  

এই বাড়ি থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর সদর উপজেলার দীঘলাপাড়ায় রাস্তার পাশে ভাঙাচোরা এক দোকানে চা বানান এক বৃদ্ধা নারী। নাম নাজমা আক্তার।  

তার হাতে বানানো চা খেতে খেতেই জানা গেল এক হাহাকারের গল্প।  

এই নাজমাই ওই অট্টালিকার মালিক শহীদুলের জনমদুখিনী মা, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দোকানটি চালাচ্ছেন। এই দোকান করেই তিনি সন্তানদের শিক্ষিত করেছেন। অথচ মায়ের জায়গা হয়নি ছেলের অট্টালিকায়!

বৃদ্ধা মায়ের সরল ভাষ্য, ‘এই দোকান করেই পোলারে লেখাপড়া করাইছি, খাওয়াইছি, মানুষ করছি। এখন আমি তার বাসায় গেলে যদি দুশমনের মতো ভাবে! তাই আমার আর সেখানে যাওয়ার দরকার কি। আমি আমার কুঁড়েঘরেই ভালো আছি। ’

গাজীপুর সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাজুলিয়া গ্রামে এক নিরিবিলি পরিবেশে বাড়িটি গড়ে উঠেছে কিছুদিন হলো। নাম ‘নওশিন খামারবাড়ি’। শহীদুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন রাজধানীর উত্তরায়। গ্রামের এই অট্টালিকা মূলত তাঁদের অবসরযাপনের জন্য গড়া। এ যেন নচিকেতার ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এরই বাস্তব রূপায়ণ।  

এখানেও ছেলের বিশাল বাড়িতে মায়ের জন্য জায়গা বড় কম! যেন দামি সব আসবাবের ভিড়ে সবচেয়ে কমদামি মা-ই! 

এ নিয়ে অবশ্য মা নাজমা আক্তারের মনে দৃশ্যত কোনো আক্ষেপ নেই। হয়তো চাপা অভিমানে লুকিয়ে রেখেছেন বহুদিনের শ্রম আর ঘামের কষ্ট।

পাজুলিয়ার মানুষের কাছে ‘নওশিন খামারবাড়ি’ শুধু একটি পাঁচতলা ভবন নয়, অনেক রহস্যের আখ্যান যেন! প্রায় ১৫ কোটি টাকায় অট্টালিকা বানানোর নেপথ্যই বা কী। কে এই শহীদুল? কেন তিনি একদিন এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন? 

দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পিলে চমকানো সব তথ্য। উঠে আসে বহু মানুষের কান্না, অভিযোগ আর ক্ষোভের কথা।

প্রকৃত বাড়ি সাভারে। প্রায় তিন যুগ আগে দীঘলাপাড়ায় বসতি গড়েন রমিজউদ্দিন ফকির। তিন ছেলে তাঁর। সবার বড় ইউনুস ফকির, এরপর শহীদুল ইসলাম ওরফে খোকন ফকির এবং সবার ছোট ফারুক ফকির। নামের শেষে ‘ফকির’ তাদের বংশের পরিচয়। কিন্তু এই পরিচয় মুছে দিয়ে শহীদুল নিজের নামে যুক্ত করেন ‘চৌধুরী’। নব্বইয়ের দশকে মাধ্যমিক পাস করেছেন স্থানীয় রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে গাজীপুরে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সে চাকরিতে যোগ দেন শহীদুল। তিন বছর বাদে ২০০০ সালে চলে যান সানলাইফ ইনস্যুরেন্সে। এখানেই থিতু হন দীর্ঘ সময়। ২০১৭ সালে তিনি যখন ১৯ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানছিলেন, তখন তাকে ঘিরে এলাকায় চলছিল বহু মানুষের অভিযোগ। বিমার টাকা সংগ্রহ করে অফিসে জমা না দেওয়া, পরিপক্ব বিমার পুরো অর্থ গ্রাহককে না বুঝিয়ে দেওয়াসহ অনেক অভিযোগ নিয়ে গ্রামছাড়া হন। এরপর চার বছরে বদলে যায় অনেক কিছু। এলাকার মানুষ শুধু নামে নয়, সবকিছুতেই যেন খুঁজে পায় নতুন এক শহীদুলকে।

জানা যায়, ইনস্যুরেন্স করে দিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন শহীদুল। বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করলেও অফিসে জমা দিতেন নামমাত্র। বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে একসময় চলে আসেন ঢাকায়।  

সূত্র বলেছে, এলাকায় তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকি গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলার কথাও শোনা যায়। কিন্তু ঢাকায় এসে তিনি চরিত্র বদলে হয়ে যান কৃষক লীগ নেতা। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কাজ বাগিয়ে কমিশন বাণিজ্য করেন। এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন শহীদুল।  

জানা যায়, নিজের নামে নয়, এসব অর্থে সম্পত্তি গড়েছেন স্ত্রী, শ্বশুর ও শ্যালকের নামে।

গাজীপুর সদরের পিরুজালী এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বাদল খেজুর চাষ করে সংসার চালান। একদিন গ্রামে এসে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পরিচয় দেন শহীদুল।

অনেক বুঝিয়ে তাকে একটি বিমা করতে রাজি করান। নিয়মিত টাকাও দিয়ে গেছেন। কিন্তু বিমার মেয়াদ পূর্ণ হলেও টাকা ফেরত পাননি। বাদল এখন আর খুঁজেও পান না শহীদুলকে।  

বাদল বলেন, ‘অনেক কষ্টের টাকা তুলে দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কিছু টাকা বেশি পেলে ব্যবসাটা বড় করবো। তা তো হলোই না, উল্টো শ্রম দিয়ে কামানো টাকাও গেল। ’

এমনই ভুক্তভোগী লক্ষ্মীপুরার বাসিন্দা ফাহিমা আক্তার শিমু, দীঘলাপাড়ার রফিক উদ্দিন, ভাওয়ালবাড়ির আবদুল কাদের। তাদের সবাই বিশ্বাস করে টাকা তুলে দিয়েছিলেন শহীদুলের হাতে। কিন্তু ফেরত পাননি একটি কানাকড়িও। এমনকি শহীদুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলী আসগরও বুঝে পাননি বিমার পুরো টাকা।  

আলী আসগর বলেন, ‘শহীদুল আমাকে বিমার পুরো টাকা বুঝিয়ে দেননি। শুনেছি আরো অনেকেই তার কাছে বিমার টাকা পায়। ’ দীঘলাপাড়ায় বাড়ি সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের গাজীপুর সার্কেলের সিনিয়র জিএম ইব্রাহীমের। চাকরিতে শহীদুলের চেয়ে তিন বছরের জ্যেষ্ঠ ইব্রাহীম। কিন্তু তাঁর এখনো কাঁচা ঘর।  

তুলনা করতে গেলে ইব্রাহীম বলেন, ‘সততার সঙ্গে চাকরি করে আসছি। এর চেয়ে আর বেশি কিছু চাই না। ’

সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের একটি সূত্র জানায়, চাকরিজীবনের ইতি টানার আগে গাজীপুর সার্কেলের ডিজিএম পদে ছিলেন শহীদুল ইসলাম।  

তিনি চাকরি ছেড়ে যাওয়ার পর বহু মানুষ বিমার টাকা চাইতে অফিসে যোগাযোগ করেছেন। বেশির ভাগ মানুষের কাছে টাকা জমা দেওয়ার আসল রসিদ ছিল না। অর্থাৎ শহীদুল তাদের নকল রসিদ গছিয়ে দিয়েছিলেন। আবার অনেকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, অথচ টাকা ফেরত পাননি বলে দাবি করেন। কিন্তু অফিশিয়ালি তাদের নামে কোনো বিমাই ছিল না।  

এক কর্মকর্তা জানান, শহীদুল খুব দুর্বল পরিবার থেকেই উঠে আসা। কিন্তু এভাবে রাতারাতি এত টাকার মালিক কীভাবে হয়েছেন, সেটি রহস্যঘেরাই।

দীঘলাপাড়ায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নড়বড়ে চা দোকানটিতে বসে আছেন বৃদ্ধা নাজমা। তার প্রকৃত নাম মমতাজ বেগম। নিজেই চা বানান এবং ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিচ্ছেন।  

আলাপচারিতায় জানা যায়, তার স্বামী রমিজউদ্দিন ফকির ৩০ বছর আগে দোকানটি চালু করেন। স্বামীর পাশাপাশি তিনিও নিয়মিত দোকানদারি করে আসছেন। কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একা হয়ে যান। দোকান থেকে মিনিট তিনেক হাঁটলেই তার ঘর। ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে কোনোমতে জীবন কাটান।

শহীদুলের এক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তিনি (শহীদুল) এমন রিসোর্ট বানিয়েছেন, যার কাছে তারেক জিয়ার রিসোর্টও ফেল। মনে হয় রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন, নইলে কীভাবে এত দামি বাড়ি বানালেন! সারা জীবন শুনে এলাম খোকন ফকির, হঠাৎ করে আকিকা দিয়ে নিজের নাম দিয়েছেন শহীদুল চৌধুরী। ’

সরকারি জমি ও রাস্তা দখল: পাজুলিয়া গ্রাম ঘুরে জানা যায়, অট্টালিকা করতে গিয়ে সরকারি খাসজমিও দখলে নিয়েছেন প্রতারক শহীদুল। এমনকি এলাকাবাসীর দীর্ঘ বছরের চলাচলের রাস্তাটিও বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাব খাটিয়ে। রাস্তার ওপর তুলে দিয়েছে সীমানাপ্রাচীর। এখন ওই এলাকার বহু মানুষের যাতায়াতে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।  

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় সব দপ্তরে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাননি। প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো জীবননাশের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, নতুন প্রাসাদের মাধ্যমে পেছনের অনেকগুলো পরিবারকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিয়েছেন শহীদুল। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে সেখানে অনেক বছর ধরে বসবাস করে আসা পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চলছে। এরই মধ্যে একাধিক পরিবার তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।  

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহীদুলের অট্টালিকার অদূরে বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের মাটির ঘরটি খসে পড়ছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই ঘরে পা পড়েনি কারো।  

শহীদুলের হুমকির মুখে পরিবারের সদস্যরা যাযাবরের মতো জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে গাজীপুর সদরে এক বাসায় কোনোমতে মাথা গুঁজে আছেন তারা। সেখানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহানারা।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে কেউই নেই। কেউ ভয়ে এগিয়ে আসে না। ওর (শহীদুল) এত ক্ষমতা, কারো নাকি বিচার করার সাহস নাই। ওর অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। এই জুলুমের শেষ কোথায়? ওর বোধ হয় টাঁকশাল আছে। না হয় এত টাকা কোথায় পায়?’

পাজুলিয়ার বাসিন্দা এলিনা বেগম বলেন, জন্ম থেকে তাঁরা এ রাস্তা ধরে যাতায়াত করে আসছিলেন। কিন্তু শহীদুলের ভবনের কারণে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে দেড় শতাধিক মানুষের।  

এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেন শহীদুল। এখন কেউ আর কিছু বলার সাহসও করেন না।

আমির হোসেন, নাজিম উদ্দিন ও ইকবাল মিয়া বলেন, শহীদুলের জুলুমের প্রতিবাদ করলেই মামলা-হামলার হুমকি দেন।  

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত করে রাস্তাটি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।  

শাহানারা বলেন, ‘প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেয়। লাশ গুম কইরালাইবো। আমাদের টাকা নেই, তাই আমরা কিছু কইতে পারি না। বিপদে পড়লে দ্রুত যাতায়াতও করতে পারি না। ’

পাজুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেছে, শহীদুল নিজেকে কখনো সচিব, কখনো একান্ত সচিব, আবার কখনো সচিবালয়ের বড়কর্তা হিসেবে জাহির করেন। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।  

প্রতিবাদ করতে গেলে আঙুল উঁচিয়ে মানুষকে শাসিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন কোনো মানুষ নেই, যে আমার বিচার করবে। ’ 

শহীদুলের একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। যেখানে তিনি নিজেকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

শহীদুলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে গত ৩১ মে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেন।  

তিনি সিটি করপোরেশনেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।  

এছাড়া ভুক্তভোগী আফসার উদ্দিন গাজীপুর রাজস্ব অফিসে এবং নাজিম উদ্দিন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে প্রতিকার পাননি তাঁরা।  

জানা গেছে, ভুক্তভোগীর পক্ষে সিটি করপোরেশনে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম।  

এমনকি প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাও সরেজমিন পরিদর্শন করে রাস্তার ওপর স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন।

যোগাযোগ করা হলে শহীদুল ইসলাম সরকারি জমি দখল ও রাস্তা বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 নওশিন খামারবাড়িটি তাঁর নয় দাবি করে বলেন, এটি স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তি। এলাকায় নিজেকে সচিব বা সচিবালয়ের বড়কর্তা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ালেও কাছে পরিচয় দেন একজন এনজিও পরিচালক হিসেবে। আবার নিজেকে সরকারের নিবন্ধিত জমি ব্যবসায়ী এবং কৃষক লীগের সদস্য বলেও দাবি করেন। মায়ের খোঁজখবর রাখেন উল্লেখ করে বলেন, দীঘলাপাড়ায় তাঁর একটি বাড়ি আছে, যেখান থেকে মা ভাড়া পান।

এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজের নাম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলে দাবি করেন তিনি। যদিও রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আসগর এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন, মাধ্যমিকের নথিপত্রে তার নাম ‘শহীদুল ইসলাম’ বলেই উল্লেখ রয়েছে।