মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাতে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধন করা যায়।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পরিবহন পুলের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, এ পর্যন্ত আমরা এক লাখ ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা করেছি। আরো ৩৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট যাচাই-বাছাই করা হবে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। এর বাইরে শহীদ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ১৫ হাজারের মতো। আমাদের ধারণা কোনোমতেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়াবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা শেষ করার পর আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়নে কাজ শুরু করবো।
মন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস তৈরি করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার জন্য আইন পাস করা হবে। সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে আইনটি তুলতে চাই। তবে এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হওয়ায় আইনটি পাস করা সম্ভব হবে না।
মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সব সেবা এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হচ্ছে। আমরাই প্রথম মন্ত্রণালয় হিসেবে শতভাগ কাজ ওয়েবসাইটে করার ব্যবস্থা করেছি। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ডিজিটাল পেমেন্ট দেওয়া শুরুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। এর জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সাবচার্জ দিতে হবে না। সেটিও সরকার দিয়ে দেবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। গত ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সেবা সপ্তাহ পালিত হয়।