নগরের পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় বাসায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে নারীর সঙ্গে অশ্লীল ছবি ধারণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার ছদু চৌধুরী রোডের একতা আবাসিকের চৌধুরী ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) পলাশ কান্তি নাথ।
মাসুদ রানা চৌধুরী নিজেকে বিভিন্ন সময় গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে জানিয়েছে পুুলিশ।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, ভুক্তভোগী দুই যুবককে দাওয়াত দিয়ে বাসায় নিয়ে যায় মাসুদ রানা চৌধুরীসহ আসামিরা। পরে সেখানে ভুক্তভোগী দুইজনকে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
তিনি বলেন, মুক্তিপণের টাকা না দিলে আসামিরা নারীদের সঙ্গে ভুক্তভোগী যুবকদের অশ্লীল ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। চিৎকার শুনে ভবনের মালিক পুলিশকে খবর দিলে, আমরা গিয়ে ভুক্তভোগী দুই যুবককে উদ্ধার করি।
এ সময় ওই বাসা থেকে একটি ক্যামেরা, চারটি মোবাইল, তিনটি খেলনা পিস্তল, তিনটি ছুরি, দুইটি সাংবাদিক আইডি কার্ড, পুলিশের ব্যবহৃত এক জোড়া জুতা ও ৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি হাসান ইমাম।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আসামি মাসুদ রানাসহ অন্যরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে যুবকদের বাসায় ডেকে এনে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।
গ্রেফতার মাসুদ রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগরের পাহাড়তলী ও হালিশহর থানায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে বলে জানান পলাশ কান্তি নাথ।