এটুকুই বাকি ছিল! কিছুদিন আগে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’ ঘোষণা করে সবচেয়ে আবেদনময় টাক মাথার পুরুষদের নাম। সেখানে বিভিন্ন জরিপের ফল মিলিয়ে এই বিভাগে জয়ী হয়েছেন প্রিন্স উইলিয়ামস। যদিও এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি এসেছে ‘দ্য রক’ ডোয়াইন জনসন ও মার্কিন অভিনেতা স্ট্যানলি টুচ্চির নাম। এই দুজনকে হটিয়ে এ বছর বিশ্বের সেরা আবেদনময় ‘টাকু’ হয়েছেন প্রিন্সেস ডায়ানার বড় ছেলে।
এই ফল মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সাবেক সেরা টেকো ডোয়াইন জনসনও প্রতিবাদ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ প্রতিবাদ রীতিমতো আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। কেউ কেউ রাজপুত্রকে সেরা টাকু মানতেই চাইছেন না। দ্য রক ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘তাঁদের মাথাটা কি গেছে? আমি যতদূর জানি, ল্যারি ডেভিডের (৭৮ বছর বয়সী মার্কিন কমেডিয়ান, অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও লেখক) হৃৎস্পন্দন এখনো থামেনি। তিনি বেঁচে থাকতে কীভাবে অন্য কেউ বিশ্বের সেরা আবেদনময় টাক মাথার পুরুষ হন?’
কেবল দ্য রক নন, তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, ‘প্রিন্স উইলিয়ামস? আসলেই? নাকি অগ্রিম এপ্রিল ফুল? অভিনেতা ডোয়াইন জনসন, ল্যারি ডেভিড, স্ট্যানলি টুচ্চি, শেমার মুরদের নাম নেই? এই জরিপ মানি না।’ অন্যদিকে মার্কিন অভিনেতা, ফ্যাশন মডেল ও লেখক স্ট্যানলি টুচ্চি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না প্রিন্স উইলিয়ামসের বিশ্বসেরা আবেদনময় টেকো পুরুষ হওয়া। টুচ্চি লিখেছেন, এই মুকুট অন্য কারও মাথায় শোভা পাওয়ার কথা ছিল। কত কত দুর্দান্ত বিকল্প ছিল!
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বিশ্ববিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মাইক টাইসন। প্রিন্স উইলিয়ামস আর মাইক টাইসনের মধ্যকার ব্যবধান অনেক। বেশ কয়েকটি জরিপ মিলিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামসের নাম এসেছে ১ কোটি ৭৬ লাখ বার। আর মাইকের নাম এসেছে ৮৮ লাখ বার।