মালিতে সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের হামলা-সংঘর্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৭ জন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় সরকারি সেনাদের ওপর জঙ্গিদের হামলা ও সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলার ঘটনায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বুধবার মালির মধ্যাঞ্চলীয় মপতি অঞ্চলের বোদিও গ্রামে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বানকাস শহরের মেয়র মৌলায়ি গুয়িন্দো এই তথ্য জানান। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, হামলা ও সংঘর্ষে বহুসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সরকারি সেনা ও ৩০ জন জঙ্গি। এছাড়া আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মালির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) মাধ্যমে জটিল একটি হামলা নস্যাৎ করে দিয়েছে সেনারা। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আরও এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে জানান, বুধবারের হামলায় ১০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
মালির ওই এলাকাতে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের উপস্থিতি রয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি সেনাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ মূলত এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানিয়েছেন বানকাস শহরের এই মেয়র।
তবে মালির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় হওয়া একটি হামলায় তাদের অন্তত ৯ সেনা নিহত হয়েছেন এবং আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। অবশ্য স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
এদিকে মালির সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাত অস্ট্রেলিয়ান বার্তাসংস্থা এএপি জানিয়েছে, বুধবার সকালে মালি-বুরকিনা ফাসো সীমান্তবর্তী কোরো ও বান্দিয়াগারা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে সেনাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
মালির সেনাবাহিনীর দাবি, তারা এই হামলার ‘কঠোর জবাব’ দিয়েছে এবং হামলাকারীদের পিছু হটিয়ে ধাওয়া করা হয়। পরে স্থল ও আকাশপথে একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনারা।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর হামলায় ১৫ হামলাকারী নিহত হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে ২০টি মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩টি সামরিক যান ধ্বংস হয়ে যায়।