মিয়ানমারের তরুণ ও শিক্ষার্থীরা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ফেসবুক পেজে তাদের এ কর্মসূচিতে এক লাখেরও বেশি লাইক পড়েছে।
অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ ব্রিজফি জানিয়েছে, মিয়ানমারে তাদের অ্যাপটি ১০ লাখ বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
দেশজুড়ে ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সমাধান হিসাবে দেশটির আন্দোলনকারীরা ব্রিজফির ডাউনলোড উৎসাহিত করে।
মিয়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে। বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্রসহ ১১ জন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে বদলানো হয়েছে।
মিয়ানমারে নতুন নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রধান নিয়োগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
রাজধানী নেপিদোতে শতাধিক পার্লামেন্ট সদস্যকে আবাসিক বাসভবনে মঙ্গলবার পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে সেনাবাহিনী। বুধবার তাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি ছিল শান্ত। প্রধান শহরগুলোয় সেনাবাহিনীর টহল চলেছে।
তবে বুধবার রাতে ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীরা ঢাকঢোল, গাড়ির হর্ন, থালা-বাসন ও হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অমঙ্গল দূর হবে’ বলে স্লোগান দেন।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে। এনএলডি নভেম্বরের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারে নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি ৮৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে।
পার্লামেন্টের ৪৭৬টি আসনের মধ্যে সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি পায় মাত্র ৩৩টি আসন।
এ নির্বাচনের ফল ঘিরে সংকট ঘনীভূত হয়। সেনাবাহিনী ও ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নির্বাচনের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলে। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন এ অভিযোগ নাকচ করে।
সোমবার মিয়ানমারের নবনির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। তার কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।
মিয়ানমারে রাজনীতিকদের আটক ও সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।