প্রধান পাতা

মুরগি দেওয়ার কথা বলে ৭ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণ’

(Last Updated On: )

মাদারীপুরের শিবচরে মুরগি দেওয়ার কথা বলে দোকানে নিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সোহান মাদবর নামের এক মুরগিব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবার গতকাল বৃহস্পতিবার শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, মামলা দায়েরের পর নির্যাতিতার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বাড়ি ছেড়ে অন্য ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ দুপুরে উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নে সাত বছরের এক স্কুলছাত্রী হাটে তার নানার মুদির দোকানে যায়। ওই সময় তার নানা দোকানে ছিল না। এ সময় শিশুটির প্রতিবেশী ওই হাটের মুরগিব্যবসায়ী লাবলু মাদবরের ছেলে সোহান মাদবর (২০) ওই শিশুকে মুরগী দেওয়ার কথা বলে কৌশলে হাট সংলগ্ন তার দোকানে নিয়ে যান। শিশুটিকে দোকানে ঢুকিয়ে দোকানের দরজা বন্ধ করে দেন সোহান।

এ সময় সোহান মুরগি জবাই করার ছুরি শিশুটির গলায় ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকিও দেন সোহান। ঘটনার পর শিশুটি বাড়ি ফিরে রক্তমাখা পাজামা ঘরের খাটের নিচে ফেলে রাখে। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার শিশুটির মা ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় রক্তমাখা পাজামা দেখতে পেয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন। পরে  মায়ের কছে সব খুলে বলে শিশুটি।

এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে সোহানের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে, মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তের পরিবারের হুমকির মুখে বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। এদিকে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত সোহান ও তার পরিবার গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শিশুটির মা বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করার কারণে এখন আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমার ছোট শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।‘