লাইফ স্টাইল

যেসব উপায়ে দ্রুত ওজন বাড়াবেন

(Last Updated On: )

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সাধারণভাবে মনে করা হয় মেদহীন হালকা-পাতলা গড়নের নারী-পুরুষদের সবাই পছন্দ করেন। এরা যা ইচ্ছে তা-ই খেতে পারেন, যা ইচ্ছা তা-ই পড়তে পারেন কিন্তু এরা কি নিজেদের শরীর নিয়ে সন্তুষ্ট? তবে বাস্তবতা ভিন্ন- আমাদের আশেপাশের অনেকেই নিজেদের হালকা-পাতলা শরীরটা নিয়ে দুর্ভাবনায় থাকেন।

যে যা-ই বলুক, শরীরটা ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা বোঝার একটা ভালো উপায় হলো উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতের হিসাব। সে অনুযায়ী ওজন কম হলে বিষয়টা ভাবা প্রয়োজন। কেননা অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক তেমনি অতিরিক্ত ওজনহীনতাও বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আবার হালকা-পাতলা শরীরটায় বাসা বেঁধে থাকতে পারে রক্তশূন্যতা, ঝামেলা থাকতে পারে পরিপাকের। এছাড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ঝুঁকি ও হাড়ের দুর্বলতাও চিন্তার বিষয়। ফলে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন হলে এই পাঁচ পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।

১. ওজন বাড়াতে হলে খেতে হবে এমন ভাবনাটা অনেকটাই অযৌক্তিক। যা খুশি তা-ই খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি। সেক্ষেত্রে আপনার খাবার গ্রহণেও হতে হবে কার্যকরী, খেতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টিকর খাবার। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের যথাযথ সমন্বয় থাকতে হবে খাবারে। মাংসপেশি গঠন আর ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের চাহিদা মেটানো গুরুত্বপূর্ণ।

নানা ধরনের বাদাম, দুধ ও দুধজাত খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাবে।তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে প্রত্যেকদিন চর্বি যুক্ত মাছ খান। আরও ভালো ফল পেতে মাছ, মাখন এবং অলিভ অয়েলে ভেজে নিন।

২. ওজন বাড়াতে প্রতিদিনের ডায়েটে আলু রাখতে ভুলবেন না। আলুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া ওজন বাড়ানোর জন্য সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হলো পিনাট বাটার। খাবার তালিকায় রাখতে পারেন প্রোটিন, ভিটামিন ডি, স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলযুক্ত উপাদান হলো ডিম। ওজন বাড়ানোর জন্য রোজ ব্রেকফাস্টে চিজ খাওয়া হলেও ফল ভালো আসবে।

৩. প্রতিদিন ১শ’ গ্রাম করে বাদাম খান। ১শ’ গ্রাম বাদামে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ই এবং ফাইবার থাকে। ওজন বাড়ানোর জন্য বাদাম খুবই উপযোগী। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে সব থেকে তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ানোর উপযোগী খাবার হলো কলা। প্রত্যেকদিনের ডায়েটে কলা রাখুন। ওজন বাড়বে হু হু করে।

৪. ধূমপান যতো বেশি করবেন আপনার ক্ষুধা না লাগার সমস্যা ততো বাড়তেই থাকবে। অবশ্য জগতে অতিরিক্ত ওজনের মোটাসোটা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন এবং হাড় জিরজিরে রোগা-পটকা ধূমপায়ীও প্রচুর আছেন। কিন্তু কথাটা হলো ধূমপান কারো স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো না। আর ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর সবারই প্রথম যে উপকার হয় তা হলো ক্ষুধা বাড়তে থাকা। এতে আপনার ওজন বেড়ে আপনার স্বাস্থ্য আরো ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

৫. রুটি একটি ভীষণ পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি রাখলে সারাদিন শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। ১শ’ গ্রাম রুটিতে আছে ১৭০ ক্যালোরি, ১.৫৫ গ্রাম ফ্যাট, ৩২.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৫.৮৪ গ্রাম প্রোটিন। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত রুটি খাওয়া উচিৎ।

এছাড়া আপনার প্লেটে রাখতে পারেন ভাতও। এতে শর্করার পাশাপাশি কিছুটা আমিষও পাওয়া যাবে। ফলে শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কম করেও দু’বেলা ভাত খাওয়া যেতে পারে।