প্রধান পাতা

রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন এহসানের আহসানসহ ৪ ভাই

(Last Updated On: )

পিরোজপুরে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় মাল্টিপারপাস কোম্পানি এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান ও তার তিনভাইকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করলে বিচারক ইকবাল মাসুদ জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রাগীব আহসানের অপর তিন ভাই হলেন- মাওলানা আবুল বাশার, মো. খাইরুল ইসলাম ও মুফতি মাহমুদুল হাসান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় রাগীব আহসান ও তার ভাইদের আদালতের নির্দেশে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়েছে। রিমান্ডে আসামিদের থেকে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে তা এই মুহূর্তে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাদের বিরুদ্ধে করা পাঁচ প্রতারণার মামলার চারটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও অন্যটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, তাদের বিরুদ্ধে ৯১ কোটি ১৫ লাখ ৯৩৩ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রথমে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমারখালী এলাকার মো. হেমায়েত উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় দুই কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। এরপর সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকার মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দুই লাখ ৭৫ হাজার ২০০ এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার মো. মনির বাদী হয়ে তিন লাখ ৩৯ হাজার ২০০ এবং উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামের আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানার তোপখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি রাগীব আহসান ও তার সহযোগী মো. আবুল বাশার খানকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। ওই দিন বিকালে সদর উপজেলার খলিশাখালী এলাকা থেকে মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মো. খাইরুল বাশারকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দীন আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।