খুলনার তেরখাদায় ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে মামলায় চার অভিযুক্ত নির্দোষ প্রামাণিত হওয়ায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াজ খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন ফরিদ মোল্লা, মিসবাহ মোল্লা, মোর্তজা মোল্লা ও টুটুল মোল্লা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মুক্ত মোল্লা, শহিদুল শিকদার, সেলিম শিকদার, নাসির শিকদার ও মেহেদী মোল্লা। এ মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- খালিদ মোল্লা, নাজমুল শিকদার, রাজা শেখ ও ওসমান ফকির। আসামিরা সবাই তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট খুন হন তেরখাদার ঔষধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ (৩৫)। ওই দিন সন্ধ্যায় রমজান উপলক্ষে মালামাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয় মুন্সী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছামাত্রই আসামিরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে মারাত্মকভাবে জখম হন ফিরোজ শেখ। এ সময় তাকে বহনকারী ভ্যান চালকের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে তেরখাদা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ।
মৃত্যুর তিনদিন পর নিহতের ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ১৬ জুন খুলনা সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মিঠু রানী দাস ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিদের মধ্যে একজন এখনো পলাতক রয়েছেন। বাকি ৯ জনকে আজকের রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি ও ৪ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।