দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি হয়েছে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল)। এমন পরিস্থিতে রাজধানীর হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যার সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা দ্বিগুণ করতে আমরা কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী কাঁচাবাজারটি করোনা রোগীদের জন্যে একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করার কাজ চলমান। এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল। এখানে ২৫১টি আইসিইউ ও এইচডিইউ শয্যা থাকবে। এ হাসপাতালের মূল বৈশিষ্ট্য হবে, সেখানকার এক হাজার ২০০ শয্যার সবগুলোতেই আইসিইউ সুবিধা থাকবে।’ আজ মঙ্গলবার বিকালে এই হাসপাতালের কাজের অগ্রগতি দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তখন তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালে একসঙ্গে যে দুইশটি আইসিইউ বেড করা হচ্ছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিরল। পাশাপাশি এখানে আরও ১০০০টি নতুন আইসোলেশন বেডও হচ্ছে। তবে বেড সংখ্যা যতই বাড়ানো হোক, মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে তাহলে কোনোকিছুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২,৫০০ শয্যা দ্বিগুণ করে ৫,০০০ করা হয়েছে। শিগগিরই আরও ১,২০০ শয্যা যোগ হবে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে ১,০০০ শয্যা আছে।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা পাঁচ হাজার বেড করলাম। এরপরে তো আর এক ইঞ্চি জায়গাও নাই যেখানে আপনি আরেকটা বেড রাখতে পারবেন। তখন বেডটা কোথায় দেব? আপনাদের বাড়ি ঘরে তো বেড নিয়া গেলে হবে না।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘রোগী যদি আজকে ১০ হাজার হয়ে যায়, ২০ হাজার হয়ে যায়, কোথায় নেবেন? কোথায় চিকিৎসা করবেন? ডাক্তার কোথা থেকে পাব? বেড বাড়ালাম, নার্স কোথা থেকে পাব? এটা তো সম্ভব নয়।’