গণহারে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতার পুনঃমূল্যায়ন, দ্রুততম সময়ে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণসহ মোট চার দফা দাবি পূরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
রোববার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে জড়ো হয়ে সড়কে মিছিল বের করে সাত কলেজের স্নাতক ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্নাতক চতুর্থ বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষায় সাত কলেজের ইংরেজি বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে গণহারে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছেন। অথচ এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২০১৫-২০১৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষে ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। তিতুমীর কলেজের ২৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৩ জন ফেল, ইডেন মহিলা কলেজের ২১০ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ফেল, সরকারি বাংলা কলেজের ১১৬ জনের মধ্যে ৯২ জন ফেল, বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন ফেল করেছেন। আরো অন্যান্য বিভাগে তো আছেই। এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার পেছনে কোনো কারণ কলেজ প্রশাসন দেখাতে পারছে না। আমরা চাই খাতাগুলোর আবারও মূল্যায়ন করা হোক।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতা সঠিকভাবে পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে, অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষার নোটিশ দিতে হবে।
২. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মাধ্যমে ক্লাস যাচাই।
৩. শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের একাডেমিক সমস্যা নিজ কলেজের মাধ্যমে সমাধান করা।
৪. সব বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
অবিলম্বে এসব দাবি না মানা হলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসবেন বলেও জানান তারা।