আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনের পথ নির্দেশনা।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে শনিবার (৬ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনেরই নয়, ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে অন্যতম।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর এই ভাষণের মধ্য দিয়ে একদিকে পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নীপিড়ন, বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন, অন্যদিকে শোষণের হাত থেকে বাঙালিকে মুক্তির পথ নির্দেশনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও গেরিলা যুদ্ধের রূপরেখা তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। তিনি পাড়া, মহল্লা, থানা ও জেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছিলেন। ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বোই, ইনশাল্লাহ’ -তাঁর এমন দৃঢ়চেতা মনোবল ও ঘোষণার কারণেই পাকিস্তানী শোষণ ও শাসনের বিরূদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা পায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি লাইনের প্রতিটি শব্দ আন্দোলিত করে মুক্তিকামী বাঙালিকে, যার মধ্যে বাঙালি খুঁজে পায় স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করার সকল কলা-কৌশল। এই ভাষণ যুগে যুগে শত আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আমু বলেন, ৭ মার্চ আজ শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতিসহ সারা বিশ্ববাসীর কাছে শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা পেয়েছে। আর যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।