জাতীয়

উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভরে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

(Last Updated On: জুন ১৮, ২০২১)

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাই না ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে এই সমস্যা দেখা দিক।

শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ গড়পাড়া নিজ বাসভবনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিলো, তখন সারা দেশের হাসপাতালে ১৫শ’র মতো রোগী ছিলো। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজারের মতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রত্যেকদিন প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। এই হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ভারতে ডেলটা ভেরিয়েন্ট আমাদের দেশেও এসেছে। এর সংক্রমণের ক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, নিজেদের রক্ষা করতে হবে, পরিবারকে রক্ষা করতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যে সমস্ত দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে নেই বা ছিলো না সেই সমস্ত দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখনো ভালো আছে। এখনো লোকজন কাজ করছে। কিন্তু করোনা যদি বৃদ্ধি পেয়ে যায়, তাহলে যে লকডাউন হচ্ছে, যদি আরো লকডাউন দিতে হয়, যানবাহন চলাচলে যদি লকডাউন দিতে হয়। তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। এর বাইরে কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশে টিকা কর্মসূচি এখনো পুরোপুরিভাবে চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই টিকা পেয়ে যাব। চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাব এবং ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাবো। কিন্তু এখনো তা পাওয়া যায়নি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষ সুরক্ষা হয় না, তারও এক মাস সময় লাগে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, ধানকোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল রউফ, সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, তিল্লি ইউপি চেয়ারমান মোরসালিন বাবু প্রমুখ।