জাতীয়

করোনায় আরো ৩৮ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০৪৩

(Last Updated On: মে ২৯, ২০২১)

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৪৯ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের দুই সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ হাজার ৪৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন সাত লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৮৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার (২৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনার সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ১১ মে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর আরো ৫০০ যুক্ত হতে সময় লেগেছে ১৭ দিন। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল দিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৭ এপ্রিল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। আর ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার সাত দশমিক ৯১ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১২ হাজার ৬১১টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার ১৮৮টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩০টি।

দেশে বর্তমানে ৫০২টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১২৯টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৪৩টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩৩০টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন, আর নারী ১০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ৯ হাজার ৬৫ জন এবং নারী তিন হাজার ৪৮৪ জন।

বয়স বিবেচনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন।

মৃত্যুবরণকারী ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন ও চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে ৪ জন করে, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৭ জন করে, সিলেট বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল বিভাগে আছেন একজন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন একজন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া এক হাজার ১৮৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৫৫ জন, রংপুর বিভাগের ১১০ জন, খুলনা বিভাগের ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ৮২ জন, সিলেট বিভাগের ৩৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬ জন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।