চট্টগ্রাম

চবির মানিক: স্ত্রী দেন অফার, স্বামী দেন চাকরি 


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নিম্নমান সহকারী পদের কর্মচারী হলেও নিজেকে সেকশন অফিসার পরিচয় দিয়ে তিন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রার দফতরের কর্মচারী মানিক চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।  

এ সংক্রান্ত দুটি ফোনালাপে শোনা যায়- টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো এসব চাকরি প্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন মানিক চন্দ্র।

ফোনালাপে একজন চাকরি প্রার্থীকে ‘তুই পরীক্ষা দিছোস’ বলে সম্বোধন করা হলেও চাকরি প্রার্থী মাকসুদুল সালেহীন বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পরীক্ষাই হয়নি। টাকা না দেওয়ার জন্য প্রথম থেকে এ ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়াচ্ছে মানিক।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ মে ও ০১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চবি প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারীপুরের রাকিব ফরাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুল সালেহীনের কাছ থেকে সর্বমোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন মানিক চন্দ্র দাস- এমন অভিযোগ এই তিন চাকরি প্রার্থীর।

এদিকে চাকরি না পেয়ে প্রতারণার অভিযোগ ও টাকা ফেরত চেয়ে গত ২৬ জুলাই মানিক চন্দ্র দাসকে আইনি নোটিশ পাঠায় চাকুরি প্রার্থী মাকসুদুল সালেহীন।

মাকসুদুল সালেহীন বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানিক আমাদের তিনজনের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। শুধু আমার কাছ থেকেই ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। প্রথমে বলেছিলেন ৩০ হাজার টাকা হলেই চলবে। এরপর কখনো ৭০ হাজার, কখনো ১ লাখ- এভাবে কয়েক দফায় টাকা নিয়েছেন মানিক। প্রথমদিকে নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা নিলেও পরবর্তীতে তার অ্যাকাউন্টে লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় আরেক বন্ধুর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলেন।

চাকরিতে টাকা লেনদেনের অফার দেওয়া হয় কার মাধ্যমে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানিকের স্ত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে আমার ছাত্রী ছিলো। যদিও সেটা ২০০০ সালের আগের ঘটনা। অন্য দুই চাকরি প্রার্থী রাকিব ফরাজি ও সোহেল খানও আমার ছাত্র ছিলো। মানিক তার স্ত্রী নিপার মাধ্যমে আমাদেরকে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই অফার দেন। তিনি আগে থেকেই জানতেন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার বিষয়টি। প্রথমদিকে ৩০ হাজার করে চাওয়ায় আমরা রাজি হয়েছিলাম।

কিন্তু পরে টাকার পরিমাণ বাড়তে থাকলে ধার-কর্জ করে টাকা দিয়েছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সর্বশেষ বলেছিলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা এবং নিয়োগ সবকিছু হয়ে যাবে। কিন্তু এখনো কোনো খবর নেই। আমি টাকা ফেরত চাইলে এখন হুমকি দিচ্ছে আমাকে। তাই আমি টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মানিক চন্দ্র দাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল নম্বরটি বন্ধ করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, প্রশাসনকে বিপাকে ফেলতে এসব কর্মকাণ্ড করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুত্র: বাংলা নিউজ