চট্টগ্রাম

চবির মূল ফটকে তালা দিলেই ব্যবস্থা

(Last Updated On: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২)

এখন থেকে যেকোনো আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।  

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা যখন-তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও পরিবহন দফতরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউটের পূর্ব নির্ধারিত ক্লাস, পরীক্ষা ও সেমিনার আয়োজনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।  

এ ছাড়া একাডেমিক ও দাফতরিক কাজে ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সেবাপ্রার্থীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী কিংবা বহিরাগত কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, প্রধান ফটক আটকে দেওয়ার প্রবণতা ইদানীং অনেক বেড়ে গেছে। যার ফলে সবাই ভোগান্তির শিকার হন। তাই এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এখন থেকে এসব কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বর্ধিতকরণ ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের কমিটিতে পুনঃমূল্যায়নের দাবিতে চবির মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন ছাত্রলীগের একাংশ। হঠাৎ এ অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৪টি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত হয়।