জাতীয়

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, প্রধান শিক্ষক আটক


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফিজুর রহমান (৪৫)। তিনি উপজেলার আশেক উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সবা শিক্ষককে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে দুপুর ২টার পর পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষক হাফিজুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা যায়, মেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতেন। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনাগ্রহ প্রকাশ করে। বেশ কিছুদিন থেকেই শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করে আসছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী জানায়, হাফিজুর স্যার আমাদের গায়ে হাত দিয়ে জামাকাপড় ধরে টেনে বিরক্ত করতেন। কৌশলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসহ বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতেন। আমাদের খুব খারাপ লাগতো। স্যার ভালো নয়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ভাতিজি এসে বলে হাফিজুর স্যার আমার শরীরে হাত দিয়েছে। আর জোরে চেপে ধরায় ব্যথা পেয়েছে। এমন চরিত্রহীন শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই।

অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, স্কুলের সব শিক্ষার্থী আমার সন্তান সমতুল্য। শ্লীলতাহানির মতো কোনো ঘটনা আমি করিনি। এখানকার কিছু মানুষ সমাজে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এ ধরনের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে অবরুদ্ধ অবস্থায় ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রচলিত আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সোমবার শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।