খেলা

জিম্বাবুয়েকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল বাংলাদেশ

(Last Updated On: জুলাই ১০, ২০২১)

হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের সামনে ৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল টাইগাররা। আগের ১৯২ রানের লিডের সঙ্গে যোগ করেছেন আরও ২৮৪ রান। সবে মিলিয়ে এই ম্যাচ জিততে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করতে হবে জিম্বাবুয়েকে।

লিড ৪০০ পার হয়ে যাওয়ার পরও অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম অপেক্ষায় ছিলেন শান্ত এবং সাদমানের সেঞ্চুরির জন্য। সেই কাঙ্খিত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দু’জনই।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন সাদমান। তার পর ঝড়ের বেগে ব্যাট চালিয়ে রান তোলেন শান্তও। ফলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে।

এই দু’জনের সেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের সামনে জয়ের জন্য ৪৭৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিযে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৮৪ রান। শান্ত ১১৭ এবং সাদমান অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে।

পরিসংখ্যা বলছে এর আগে কখনোই ২০০ রানের লক্ষ্যও তাড়া করে জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ১৯৯৮ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পেশওয়ারে সেবার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল, গ্রান্ট ফ্লাওয়াররা ১৬২ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছিলেন।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দেড়শ রানের সৌজন্যে স্কোর বোর্ডে ৪৬৮ রান তোলে টাইগাররা। পরে জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামলে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণির সামনে সুবিধা করতে পারেননি। তাদের ইনিংস থামে ২৭৬ রানে। এতে ১৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল।

গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচের তৃতীয় দিন কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৪৫ রান তোলে বাংলাদেশ দল। আজ (শনিবার) চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়ে বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্তরা। মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে সাইফের (৪৩) উইকেট হারিয়ে আরও ১২৪ রান যোগ করে বাংলাদেশ। এতে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায়। 

বিরতি শেষে দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলে আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। সাদমানও কম যাননি। ২৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণার আগে নিজের অভিষেক শতক তুলে নেন সাদমান। ইনিংসের ৬২তম ওভাতে মিল্টন শুম্বার করা চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিয়ে শতকের আনন্দে ভাসেন তিনি। একই একই পথে হেঁটে এই ফরম্যাটে নিজের দ্বিতীয় শতকের দেখা পান শান্তও। পরে শান্তর অপরাজিত ১১৭ ও সাদমানের অপরাজিত ১১৫ রানের কল্যাণে ২৮৪ রানে তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।