প্রধান পাতা

ঝুলে আছে ই-পাসপোর্টের ৬ লাখ ৩ হাজার আবেদন

(Last Updated On: মার্চ ১৫, ২০২১)

গত বছরের ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার কারণে উদ্বোধনের দুই মাস পর থেকেই আবেদন গ্রহণ ও পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। এর পর সেপ্টেম্বর থেকে ফের পুরোদমে কাজ শুরু হয়। এ সময়কালে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৫টি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে কোয়ালিটি কন্ট্রোল বা কিউসি উত্তীর্ণ না হওয়ায় কিছু পাসপোর্ট বাদ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্তভাবে প্রস্তুতকৃত ই-পাসপোর্টের মধ্যে ৩ লাখ ৮৩ হাজারটি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে গেছে। আর পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য আটকে আছে ৪০ হাজার ১৮৮টি ই-পাসপোর্ট। তথ্যগত ভুলের জন্য আটকে আছে ১৯ হাজার ৬০৭টি। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে ৬ লাখ ৩ হাজার ই-পাসপোর্টের আবেদন ঝুলে আছে। ই-পাসপোর্ট গ্রহণে বেশ আগ্রহ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে; কিন্তু এক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ ও ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।

কেন গতি নেই? কবে গতি ফিরবে? এসব ছাড়াও ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় প্রসঙ্গে আমাদের সময়ের কথা হয়েছে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, শিগগির ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমে গতি ফিরে আসবে। সেভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই এখন বেশ তৎপর।

ই-পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশিসংখ্যক আবেদন জমা পড়া এবং ক্ষেত্রবিশেষে তথ্যগত ভুলের কারণে যথাসময়ে ই-পাসপোর্ট সরবরাহে কিছুটা জটিলতা ছিল। সেসব কেটে যাচ্ছে, তবে ধীরে ধীরে। যে কোনো কাজ নতুনভাবে শুরু করার সময় পুরোপুরি বুঝে উঠতে সময় লাগে, এ জন্যই গতি পেতে বেশি সময় লাগছে। এক্ষেত্রে তারা জাতীয় তথ্যভা-ারের (এনআইডি) কথাও তুলে ধরছেন। বলছেন, এনআইডির সার্ভারে শুরুর দিকে একসেস সমস্যা ছিল। আর একসেস সমস্যা থাকলে এনআইডি কার্ড সঠিক কিনা যাচাই করা সম্ভব নয়। আর যাচাই না করে পাসপোর্ট দেওয়াও অসম্ভব।