স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস-জন্ডিস সারাতে জুড়ি নেই ঢেঁকি শাকের

(Last Updated On: নভেম্বর ১৩, ২০২১)

পুষ্টিগুণে ভরা ঢেঁকি শাক। অনেকের কাছে খুব একটা পরিচিত নয় এ শাকটি। তবে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও জন্ডিস সারাতে ঢেঁকি শাকের কোনো জুড়ি নেই। ভিটামিন ও আয়রনে ভরপুর এ শাক বিভিন্ন রোগের সমাধান করে। এই শাকে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। ভিটামিন সি নানা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দাঁতের ক্ষত বা ক্যাভিটি দূর করে। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে।

পটাসিয়ামে ভরপুর শাকটি উচ্চ কিংবা নি¤œ রক্তচাপ কমায়। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় ঢেঁকি শাক অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। শাকটি ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার ও গর্ভ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শ্বাসতন্ত্রকে সতেজ রাখে। একই সাথে পুরনো কাঁশি সারিয়ে তোলে। এতে উচ্চমাত্রায় ফসফরাস থাকায় এটি ‘রিকেট’ সারাতে ব্যবহৃত হয়। ক্ষুধামন্দা দূর করে। বিভিন্ন রকমের ব্যথা, লিভার ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এই শাক কাটাছেড়া কিংবা ঘা-ক্ষত সারিয়ে তোলে

এটিকে জন্ডিসের জন্য সবচেয়ে ভাল ওষুধ বলে মনে করা হয়। ব্যথা এবং জ্বরে ঢেঁকি শাক খুব ফলপ্রসূ।

সাবধানতা : শাকটি যেমন উপকারি, তেমনি এর বিভিন্ন প্রজাতি থাকায় ভালোভাবে না চিনে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিও হতে পারে। শাকটি কোন ভাবেই ভালো করে রান্না না করে খাওয়া উচিৎ নয়। এছাড়া না চিনলে এ শাক খাওয়াও উচিৎ না।

কারণ এর অনেক প্রজাতি বিষাক্ত শাকও রয়েছে। পুরুষপ্রজাতির উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত অংশ বেশি গ্রহণের ফলে পেশী দুর্বলতা, চোখে সমস্যা এমনকি কোমাতেও চলে যেতে পারে মানুষ। ঢেঁকি শাক কেনার সময় সচেতন থাকা প্রয়োজন, পরিত্যক্ত বা নোংরা জায়গায় করা ঢেঁকিশাকে আর্সেনিক ও অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকে। তাই বাড়িতে বা ভালো জায়গায় চাষ করা ঢেঁকি শাক খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।