চট্টগ্রাম

দস্যুতামুক্ত বছরের আরেক রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা

(Last Updated On: জানুয়ারি ৪, ২০২২)

সদ্যবিদায়ী বছর ২০২১ সালে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতের জলসীমায় ৫টি দস্যুতার ঘটনাসহ এশিয়া মহাদেশের সাগরে মোট ৮১টি দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ভারতের ৫টি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়াতে ১২টি, মালয়েশিয়াতে ১টি, ফিলিপাইনে ১২টি, ভিয়েতনামে ২টি এবং মালাক্কা ও সিঙ্গাপুর প্রণালীতে ৪৯টি দস্যুতার ঘটনা ঘটে। কিন্তু স্বস্তির খবর হলো চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় সদ্যবিদায়ী বছরে এমন কোন দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপ’র ২০২১ সালে এশিয়ার জলসীমায় ঘটে যাওয়া দস্যুতার হিসেবে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি জাহাজে সংঘটিত সশস্ত্র ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরি প্রতিরোধে কাজ করে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য ও বহুল পরিচিত।
এদিকে ২০২১ সালে কোন দস্যুতার ঘটনা না ঘটায় চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি নিরাপদ ও বিশ্বে গ্রহণযোগ্য বন্দর হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বিদেশে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি আরো বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশমুখী জাহাজ পাঠাতে বিদেশিরা আরো আগ্রহী হবে। মূলত নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত-কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের ফলে দস্যুতামুক্ত জলসীমা তৈরি হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এর আগে রিক্যাপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় বিগত ১৩ বছরের মধ্যে কেবল ২০১৯ সালেই দস্যুতার ঘটনা শূন্য ছিল। এখন ২০২১ সালেও একই রেকর্ড গড়লো। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় ২০১০ সালে সর্বোচ্চ ২১টি, ২০১১ সালে ১৪টি, ২০১২ সালে ১২টি, ২০১৫ সালে ১০টি, ২০১৬ সালে একটি, ২০১৭ সালে ১১টি এবং ২০১৮ সালে ৯টি দস্যুতা-চুরির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ২০২০ সালের সারাবছরে ৩টি ঘটনা রেকর্ড করেছিল রিক্যাপ। এদিকে মালাক্কা ও সিঙ্গাপুর প্রণালী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে রিক্যাপ। কারণ ২০২১ সালে এই স্থানে ৪৯টি ঘটনা ঘটে। কিন্তু এর আগে ২০২০ সালে একই সময়ে ঘটনা ঘটে ৩৪টি। এশিয়ায় যেখানে দুর্ঘটনা কমেছে সেখানে শুধু মালাক্কা ও সিঙ্গাপুর প্রণালীতে উল্টো জাহাজে দস্যুতার ঘটনা বাড়ছে।