আন্তর্জাতিক

দুনিয়ার ওপর ‘কিছু দেশের’ খবরদারির দিন শেষ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে জোট গঠন করছে। বিশ্বে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাববলয়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জোট গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন নেতৃবৃন্দ। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলছে, কয়েকটি দেশ গোটা দুনিয়ার ওপর খবরদারি করবে সেই দিন শেষ হয়ে গেছে। লন্ডনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মূখপাত্র এমন মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি।

এবারের জি-৭ সম্মেলন শুরু থেকেই চীনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আলোচনা চলছিল। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ব্যাপারে তাগিদ দেন। জোট নেতৃবৃন্দদের ভাষ্য- চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে- এমন অভিযোগে ইতোমধ্যে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীন সারা বিশ্বে যে প্রভাববলয় তৈরি করেছে মূলত সেটিকে মোকাবিল করতেই পশ্চিমা দেশগুলো এক জোট হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ব্যপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংকল্পবদ্ধ।

চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিপরীতে ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোও যে বিকল্প প্রস্তাব হাজির করতে পারে তা বিশ্বকে দেখাতে চান যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও জাপানের নেতারা। এ প্রেক্ষাপটে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেছেন, সেইসব দিন যখন অল্প কয়েকটি দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈশ্বিক সিদ্ধান্তগুলো ঠিক হতো, সেইসব দিন অনেক আগেই শেস হয়েছে। আমরা সব সময় বিশ্বাস করি, বিভিন্ন তা বড়-ছোট, ধনী-গরিব যাই হোকনা কেন সব সমান। এই কারণে বৈশ্বিক বিষয়গুলো সব দেমের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই পরিচালিত হওয়া উচিত।

শনিবার চীন সংক্রান্ত এক আলোচনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তিনি বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জোটের নেতাদের সমন্বিত পন্থা বের করার আহ্বান। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বিবিসির সাংবাদিক, রব ওয়াটসন জানিয়েছে, জো বাইডেন চাইছেন, করোনা পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে।

গত চার দশকে অর্থনীতি ও সামরিক খাতে চীনের অভাবনীয় উন্নতির পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া খুঁজতে চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণপশ্চিম ইংল্যান্ডে মিলিত হয়েছেন জি-৭ এ শীর্ষ নেতারা। খবরে বলা হয়, জি-৭ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একটি অবকাঠামো প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা শি’র কয়েকশ ট্রিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

এবার জি ৭ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালের কারবিস বে অবকাশযাপন কেন্দ্রে। সম্মেলনটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়েও চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তো বটেই জো বাইডেনও সম্প্রতি করোনার উৎস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র তার পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গেও সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল। এই জোটের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন সেই সম্পর্ক মজবুত করতে যাচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।