জাতীয়

‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে যুবকের ওপর হেফাজত সমর্থকের হামলা

(Last Updated On: মে ২২, ২০২১)

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ‘নাস্তিক’ অপবাদ দিয়ে জাহানুর আহমেদ মনির নামের এক যুবকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে হেফাজত সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সুখাইড়র রাজপুর উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জাহানুর ওই ইউনিয়নের রংপুরহাটি গ্রামের জাগবর আলীর ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জ শহরে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল উপজেলার জয়শ্রী বাজারে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হেনস্থা ও হামলার অভিযোগ ‍ওঠে।

জানা যায়, গত ২ মে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে মামুনুল হকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদের একটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে শেয়ার করেন জাহানুর। পরদিন তিনি ময়মনসিংহে হেফাজত নেতা খালেদ সাইফুল্লাহসহ দুইজন গ্রেপ্তারের খবর একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সন থেকে ফেসুবুকে শেয়ার করেন। এই পোস্টে তিনি ক্যাপশন লিখেন ‘তাহলে আরও দুইজন গ্রেফতার, শেখ হাসিনার বাংলায় উগ্রবাদীদের ঠাঁই নাই।

বিষয়টি নিয়ে একই ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত বৈশাখ আলীর ছেলে হেফাজত সমর্থক এমদাদুল হক তাকে মুঠোফোনে মারধরের হুমকি দেন। এ ছাড়া জাহানুরকে নাস্তিক উপাধি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন হেফাজত সমর্থকরা। আজ শুক্রবার জাহানুরের ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় জাহানুর বাড়িতে আসেন। বিকেলে তিনি তার বন্ধুকে নিয়ে রাজাপুর বাজারে গেলে এমদাদুল হক, রংপুর গ্রামের সালাম উদ্দিনের ছেলে সাইদুর রহমান রোমান ও রহমতপুর গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে সুলতান রাজা জাহানুরের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে জাহানুর গুরুতর আহত হন। জাহানুর রাত ৯টায় ধর্মপাশায় থানায় অভিযোগ দিতে যান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে অভিযুক্তরা রাজাপুর বাজারে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাদের অতীত ইতিহাস ভালো না। এমদাদ গাগলাজুরের একটি মসজিদে চাকরি করে।’

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘শুনেছি ধানের ভাগাভাগি নিয়ে নাকি এমনটি ঘটেছে। অন্য কিছু ঘটেছে কি না তা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’