আন্তর্জাতিক

নেতানিয়াহুর চেয়ে আরও কঠোর হতে পারেন বেনেট


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ইসরায়েলে কট্টর ডানপন্থি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান হচ্ছে। তার স্থলে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এক সময়ে তারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এই বেনেট নেতানিয়াহুর চেয়েও আরও বেশি কঠোর হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তিনি পশ্চিম তীরে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের ঘোর সমর্থক। এমনকি বর্তমান সংঘাতের জন্যও ফিলিস্তিনিদেরকেই দায়ী করছেন তিনি। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন জানিয়েছে, ইসরাইলে যে ব্যক্তিই ক্ষমতায় আসুক না কেন সহায়তা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। খবর সিএনএন, বিবিসি ও আলজাজিরার।

ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেটের আবির্ভাব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না পশ্চিম তীর ও গাজার ফিলিস্তিনিরা। এক জাতীয়তাবাদী নেতার স্থলে আরেক জাতীয়তাবাদী আসায় ফিলিস্তিন পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেও মনে করছে তারা।

ইসরায়েলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, কে এই নাফতালি বেনেত?

পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করা সংগঠনের সাবেক প্রধান বেনেটকে উগ্র জাতীয়তাবাদী হিসেবে দেখছে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। সরকার গঠনের লক্ষ্যে বুধবার ইসরায়েলের ডান, বাম ও মধ্যপন্থি দলগুলো যে জোট করেছে তাতে কট্টর ডানপন্থি এ রাজনীতিকই ১২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকা নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন। এ দুই নেতার মধ্যে নানান বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও দুই জনই গত মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য হামাসকেই দায়ী বলে মনে করেন। এমনকি বৃহস্পতিবারও নিজের অবস্থান লুকোননি বেনেট। ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে তিনি বলেন, ‘সত্যিটা বলতেই হবে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের এই বিবাদ মোটেও জায়গা নিয়ে নয়। ফিলিস্তিনিরা এখানে আমাদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। আরো কিছু দিন এরকম পরিস্থিতি চলবে বলে মনে হয় আমার।’

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে অবস্থানই বেনেটকে ‘চিনিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট’ বলে মত ফিলিস্তিনি বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তাদের। ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রতিনিধি বাসেম আল-সালহি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহুর চেয়ে মনোনীত প্রধানমন্ত্রীও কম উগ্রবাদী নন।’ প্রায় একই কথা শোনা গেছে অন্য কর্মকর্তাদের মুখেও। গাজার সরকারি কর্মী ২৯ বছর বয়সি আহমেদ রেজিক বলেছেন, ‘ইসরায়েলি নেতাদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তারা তাদের দেশের জন্য ভালো কিংবা খারাপ হতে পারে। আমাদের জন্য তারা সবাই খারাপ।’

প্রথমবার ইসরায়েলি সরকার গঠণে যুক্ত হচ্ছে আরব দল

গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রক হামাসও বলছে, কে ইসরায়েল শাসন করছে, তাতে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা ডান, বাম, মধ্যপন্থি নামে পরিচিত কয়েক ডজন ইসরায়েলি সরকার দেখেছে। কিন্তু যখনই ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রশ্ন এসেছে, তখন তারা সবাই বৈরী আচরণ করেছে। তাদের সবারই সম্প্রসারণের বৈরী নীতি ছিল।’

এবার যে জোট সরকার ইসরায়েলের শাসনভার নিতে যাচ্ছে, তাতে প্রথমবারের মতো একটি ইসলামিক দলও থাকছে, যারা দেশটির ২১ শতাংশ আরব সংখ্যালঘুর ভোটে পার্লামেন্টে জায়গা করে নিয়েছে। আরব এ সংখ্যালঘুরা কাগজে-কলমে ইসরায়েলের নাগরিক হলেও সাংস্কৃতিকভাবে ফিলিস্তিনি। ইসলামি এ দলটির নেতা মনসুর আব্বাস বলছেন, যে চুক্তির মাধ্যমে জোট হয়েছে তাতে আরব শহরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহিংস অপরাধ মোকাবিলায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে ‘শত্রুর সঙ্গে হাত মেলানোয়’ পশ্চিম তীর এবং গাজার বেশির ভাগ বাসিন্দাই এখন আব্বাসকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে দেখছেন।