প্রধান পাতা

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ : ২ আসামির যাবজ্জীবন


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ মামলায় রায়ে প্রধান দুই আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও আবুল কালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় উভয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও মোহাম্মদ আলী প্রকাশ আবু কালামের উপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক জয়নাল আবেদিন মামলার রায় প্রদান করেন। এর ফলে ১৩ কার্যদিবসে মামলাটি সমাপ্ত হলো।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাবলু জানান, আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণ মামলাটিতে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন, জেরা ও জবানবন্দি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন ও আসামিপক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। পরে গত ১৮ আগস্ট আসামিদের উপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ লাবলু, বাদীপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদল।

সূত্র জানায়, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গত ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর নির্যাতিতা ওই নারী বাদী হয়ে দেলোয়ার হোসেন ও আবু কালামকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে এসে তাদের ঘরে ঢুকেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলু রাত ১০টার দিকে দেলোয়ারের লোকজন ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করছে এমন অভিযোগ তোলেন এবং ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেন। তবে তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে পিটিয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়।

এর আগে ওই গৃহবধূর ঘরে ও বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দেলোয়ার তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর দুপুরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলায় তথা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিতার দায়েরকৃত নির্যাতন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।