বিনোদন

নৌকার প্রচারণা করে সমালোচনার শিকার মীর সাব্বির যা বললেন

(Last Updated On: জানুয়ারি ১৮, ২০২১)

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আটঘাট বেঁধে নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় নেমেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মীর সাব্বির। এতে চটেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক সময় ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী হয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ব্যবধানে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত এই জনপ্রিয় তারকা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রচারণায় নামায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে।

সেসব পোস্টে তার রাজনৈতিক নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯০ শতাংশ লোক জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করা বরগুনার ঐতিহ্যবাহী মীর পরিবারের সন্তান হিসেবে মীর সাব্বির নৌকার প্রচারণা করছেন দেখে অনেকে অবাক ও বিস্মিত হয়েছেন বলেও দাবি করেন।

এদিকে নন্দিত অভিনেতা ও পরিচালক মীর সাব্বির এসব অভিযোগ আমলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমার ছাত্রদলের হয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে যা বলছে তা সত্য। নির্বাচন আমি করেছিলাম। তবে এখানে অনেক রঙ মেশানো কথাও আছে, যা আমাকে ছোট করতেই বলা হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা খুব ভালো করেই জানেন, আমি কখনো কোনো দিন মন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। পরিস্থিতি ও স্থানীয় রাজনীতির শিকার ছিলাম।’

আমি কৈশোর থেকেই থিয়েটার, গান-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়ি। অভিনয় করতাম, গান করতাম। খেলাঘরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সে সুবাদে এলাকা ও কলেজে আলাদা জনপ্রিয়তা ছিল আমার। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে কলেজের ছাত্রদল আমাকে ব্যবহার করেছিল।

দেখবেন, কলেজে এগুলো হরহামেশাই হয়। কোনো ছাত্র জনপ্রিয় হলে তার সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন রাজতৈনিক সংগঠন তাকে দলে টানার চেষ্টা করে। আমার বিষয়টিও তাই। আমাকে যারা ছোট থেকেই চেনেন তারাও বিষয়টি জানেন। আমি নিজে যখন জীবনবোধ, মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধকে উপলব্ধি করতে শিখেছি তখন থেকেই আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করেছি। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছি।

সেই তাগিদ থেকেই গত জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা চালিয়েছি। তখন কিন্তু কেউ কোনো সমালোচনা করেনি। এখন স্থানীয়ভাবে যখন বরগুনার একজন নৌকার প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছি তখন কেন সবাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন তা সহজেই বোধগম্য। তারা আসলে নিজেদের পরাজয় দেখতে পারছেন। কিন্তু সেটা মেনে নিতে পারছেন না। এজন্যই পুরোনো ছেলেমানুষি ঘটনাকে টেনে আলোচনায় আনতে চাইছেন।

এই অভিনেতা ও পরিচালক আরও বলেন, “এটাও বলতে চাই যে তারা ‘মীর’ পরিবার নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে সেটা নিতান্তই মনগড়া। এই পরিবারের ৯০ শতাংশ মানুষ কখনো জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করেনি। বরং ৫০ ভাগেরও বেশি মানুষকে ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি করতে দেখেছি। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে তারা আমাকে হেয় করতে গিয়ে একটি সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী পরিবার নিয়ে মিথ্যাচার করছে।