জাতীয়

পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ: মামলার আসামি হলেন কাউন্সিলর জসিম

(Last Updated On: আগস্ট ১১, ২০২২)

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলার আসামি হলেন চসিক ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।

একই মামলায় আসামি হয়েছেন তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৯) ও কেয়ারটেকার মোহাম্মদ হৃদয় (২৬)। আজ বুধবার (১০ আগষ্ট) নগরীর আকবর শাহ থানায় মামলাটি দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মামলা দায়েরের বিষয়টি জানানো হয়। তাছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হকও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলীর লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

এমন অভিযোগ পেয়ে অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের একটি টিম গত ৮ আগষ্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শণে গেলে দেখা যায়, লেকসিটি আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ছড়ার কাছে টিলা শ্রেণির জমির আনুমানিক তিন শতাংশ অংশের ছোট-বড় সব গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে টিলা মোচন করা হয়েছে।

এ ছাড়া পাহাড় কেটে একটি টিনশেড সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরসহ ওই স্থানে কর্তনকৃত পাহাড়ের পরিমাণ আনুমানিক তিন হাজার ঘনফুট। এ ছাড়া এক হাজার ৩০৬ দশমিক আট বর্গফুট পাহাড় কাটা হয়েছে।

ওই স্থানে গত কয়েক দিনে কর্তনকৃত তিনটি বড় গাছে গুড়ি দেখতে পাওয়া যায়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আজ বুধবার (১০ আগষ্ট) অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানীতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়।

শুনানিতে মোহাম্মদ হৃদয় নামে এক ব্যক্তি হাজির হন। তিনি জানান, তিনি প্রকৃত ভূমির মালিক নন। কর্তনকৃত ভূমির প্রকৃত মালিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম। তিনি এর স্বপক্ষে জমির মালিকানা খতিয়ান দাখিল করেন।

তথ্যপ্রমাণ পেয়ে এবং শুনানিতে কেয়ারটেকার স্বীকারোক্তি মতে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন বাদী হয়ে নগরীর আকবরশাহ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।