লাইফ স্টাইল

বাজারে আসছে প্রথম দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি ‘বাংলা কার’

(Last Updated On: মে ৩, ২০২১)

করোনা পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোনো অঘটন না ঘটলে আগামী জুন থেকেই দেশে তৈরি গাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলা কারস। জাপান, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগরি সহায়তায় দেশে গাড়ি তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ৮ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম পড়বে প্রতিটি গাড়ির। থাকবে ৫ বছর বা ১ লাখ কিলোমিটারের ওয়ারেন্টি।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সব ধরনের আধুনিক সুবিধা নিয়ে বাজারে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম গাড়ি। ৩০ লাখ টাকায় মিলবে সাত আসনের এ এসইউভি গাড়িটি। হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলা কারস লিমিটেড’। এই কোম্পানির তৈরি করা গড়িতে প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে। কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউর গাড়ি ব্যবহারকারীরা যেসব সুবিধা পান বাংলা গাড়িতে ৩০ লাখ টাকায় মিলবে সেসব সুবিধা। বাংলা কারস তৈরি করছে ১২ ধরনের গাড়ি। এর মধ্যে থাকছে জিপ, প্রাইভেট কার, বাস, মিনিবাস, পিকআপ, লরি ও ট্রাক।

বাংলা কারসের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদের পর আমাদের মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করবো। ২৬ মার্চ উদ্বোধন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমাদের কাজ করতে হচ্ছে আরও চারটি দেশের সহযোগিতায়।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটীতে বাংলা কারসের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে যন্ত্রাংশ এনে কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে এসইউভি গাড়ি।

মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, একটি এসইউভি গাড়ির বাজার দর কমপক্ষে ৭০ লাখ। সর্বোচ্চ দাম দেড় কোটি টাকা। দেশে সংযোজন করে বিক্রি হওয়ায় এসইউভি গাড়ির দাম পড়ছে ৩০ লাখ টাকা।

মো. আব্দুস সাত্তার জানান, দেড় বছর আগে পরিকল্পনা ছিলো যন্ত্রাংশ সংযোজন করে নয় বরং দেশেই তৈরি হবে গাড়ি। চীনের উহানের ডিএফএসকের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের পর বিষয়টি সেভাবে এগোয়নি। এখন বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা করে যন্ত্রাংশ আর সরঞ্জাম এনে দেশে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের এসইউভি। গত ফেব্রুয়ারিতে যন্ত্রাংশ দেশে আনার পর মার্চে তা সংযোজন হয়, চলতি মাস থেকে বিক্রি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু না হলেও বিক্রি হয়ে গেছে সংযোজিত গাড়ির এক তৃতীয়াংশ।

বাংলা কারসের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিন। তিনি বলেন, আট লাখ টাকা দামের যে গাড়িটি আমরা বিক্রি করতে যাচ্ছি সেটি সেডান কার। ৮ লাখ টাকায় এ প্রাইভেটকারটি কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব বিভাগীয় শহরেই থাকবে বাংলা কারসের শোরুম। তাছাড়া আরো ৩০টি শোরুম খুলতে যাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।