জাতীয়

বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ

(Last Updated On: জানুয়ারি ২৫, ২০২২)

আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই একদিনে ১৬ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে চলমান বাণিজ্য মেলা বন্ধ করার সুপারিশও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সরকারকে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

তিনি বলেন, বিধিনিষেধ কঠোর করতে সরকারকে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশের বাস্তবায়নও জরুরি। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, বাস্তব প্রয়োগও দরকার। অর্থাৎ গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, সবাই মাস্ক পরবে, অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। এগুলো ভালোভাবে হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্য মেলা চলছে, যা চালু রাখা উচিত না। এখন এইগুলোর যদি বাস্তব প্রয়োগ না হয়, তাহলে ভালো ফলাফল আসবে না। এজন্য আমরা বলেছি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, লকডাউন দিলে এই মুহূর্তে খুব লাভ হবে না। লকডাউন দেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি বলেন, ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। যখন দেখব হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে পারছি না, তখন লকডাউন দেব। লকডাউনে কিছু সুবিধা হবে, কিন্তু জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়বে, তাও কম না। এ বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।