খেলা

বিশ্বকাপ শিরোপা উঠছে কার হাতে? যা বলছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার জন্য লড়বে তাসমান সাগরের দুই প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অজিরা এই ফরম্যাটে এর আগে কখনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। একই চিত্র নিউজিল্যান্ডেরও, প্রথমবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা। যার কারণে দুই দলের জন্যই শিরোপাটা ভিন্ন কিছু হতে যাচ্ছে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের মঞ্চে বেশ সফল দল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবার শিরোপা জিতেছে তারা। সবশেষ শিরোপা জিতে ২০১৫ সালে, সেটাও আবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে। শক্তির বিচারে কিউইদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে তারা। তবে স্কিল ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড যেকোনো দলের জন্যই হতে পারে আদর্শ। বোলিং ডিপার্টমেন্টে আবার কেউই কারও চেয়ে কম নয়। যে কারণেই আজ রোববার ফাইনালটা ক্রিকেট ভক্তদের জন্য অন্যরকম হয়ে থাকতে পারে।

বিশ্বকাপের শুরুতে যাদেরকে শিরোপার জন্য দাবিদার মনে করা হয়েছিল। তারা আসরের সেমিফাইনাল কিংবা সুপার টুয়েলভেই বাদ পড়েছে। মরুর বুকে বিশ্বকাপের মঞ্চের ফাইনালে নেই এশিয়ার কোনো দেশ। তবে তার রেশ ঠিকই রয়েছে এশিয়াতে। তাহলে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ নিতে যাচ্ছে কে? অস্ট্রেলিয়া নাকি নিউজিল্যান্ড। তা নিয়ে নিজেদের বিশ্লেষণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক দুই ক্রিকেটার রকিবুল হাসান ও জাভেদ ওমর বেলিন।

শিরোপার লড়াইয়ে দুই দলই যেকোনো পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। তবে শক্তি ও পারফরম্যান্সের দিক বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রেখেছেন রকিবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এখানে ওইভাবে ফেভারিট তো কেউ নাই। তবে নিউজিল্যান্ড একটু ধাক্কা খেয়ে গেছে, তাদের প্রধান একজন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে খেলতে পারতেছে না। কনওয়ে না থাকায় তাদের শক্তিমত্তাকে কিছুটা দুর্বল করে দেবে।’

বিশ্বকাপের আগেও ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ফর্মের জন্য বাদ পড়েছিলেন আইপিএল থেকেও। অথচ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বকাপে এসে বদলে গেছে দৃশ্যপট। ফর্মে ফিরেছেন ওয়ার্নাররা। এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া গত দুই ম্যাচে খুব দাপটের সঙ্গে খেলেছে। তাদের কিছু প্লেয়ার যারা ফর্মে ছিল না (যেমন- ওয়ার্নার) তারা কিন্তু রানে ফিরে এসেছে। তাদের বোলিং সবসময় ভালো ছিল। তাদের প্রাথমিক যে দৈন্যতা ছিল সেটাও মোটামুটি শেষ দুই ম্যাচে কাটিয়ে উঠেছে।’

‘দুই দলের মধ্যে ভালো সুযোগ কাজ করে। তাসমান সাগরের দুই দিকে দুই দেশ সেটা ক্রিকেট হোক, রাগবি হোক, যেই খেলাই হোক না কেন চাপটা কাজ করবে। যদিও এরা চাপ হজম করার ক্ষমতা রাখে। তারপরও যেহেতু ফাইনাল, শিরোপার হাতছানি-সব মিলিয়ে যে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবে দিনটা তারই। তবে আমি অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখবো। চাপ দুই দলের উপরই থাকবে। ফাইনালে কেউ প্রথম কিংবা পঞ্চমই হোক না কেন, এক্সসাইটমেন্ট থাকবেই’, যোগ করেন তিনি।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের সমর্থক হলেও শক্তির বিচারে অস্ট্রেলিয়াকে খানিকটা এগিয়ে রাখতে চান সাবেক ব্যাটসম্যান জাভেদ ওমর বেলিন। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি এমন ফরম্যাট যে কেউই ঘুরিয়ে দিতে পারে। এক ওভারে খেলা বদলে যেতে পারে। বেশি পরিকল্পনা করা যায় না। এখানে ১২০ বলের খেলা একটু স্লিপ করলে ফিরে আসা কঠিন হয়ে যায়। আমি নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন করলেও এগিয়ে রাখবো অস্ট্রেলিয়াকে। কারণ ওদের প্লেয়াররা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে। ওয়ার্নারও ফর্মে আছে, নিউজিল্যান্ড হয়তো গুছালো খেলে, বোলিং লাইন ভালো, অস্ট্রেলিয়ারও ভালো। তারপরও সাইকোলজিভাবে অস্ট্রেলিয়া সাত ভাগ হলেও এগিয়ে থাকবে।’