স্বাস্থ্য

ভিটামিন ডি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে?


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পৃথিবী জুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সাথে সাথেই পাল্লা দিয়ে ছড়িয়েছে এ নিয়ে নানা রকম ভুয়া তথ্য। আর ভুল তথ্যকে ঘিরে মানুষের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। এ ধরনের ভুয়া তথ্যের মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন। কভিড-১৯এর চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত বহু রকম উপায় বাতলানো হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, আইভারমেকটিন, ভিটামিন-ডি – এগুলোর প্রতিটি নিয়েই গবেষণা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রক্রিয়ায় এটা স্বাভাবিক ঘটনা যে – প্রথমে মনে করা হয়, অমুক রোগের চিকিৎসায় অমুক ওষুধ কার্যকর হতে পারে – কিন্তু আরো গবেষণার পর দেখা যায় – তা নয়। কিন্তু অনলাইনে ব্যাপারটা ভিন্ন চেহারা নেয়। এগুলো সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি, এবং তার পর তা ব্যবহৃত হয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের কাজে।

ভিটামিন ডি-কে কভিড চিকিৎসা বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন মনে করার পিছনে কিছু কারণ হয়ত আছে। ভিটামিন ডি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি খেলে রোগ প্রতিরোধ করা বা চিকিৎসা সম্ভব আজ পর্যন্ত কোন গবেষণায় সেই প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এর অর্থ এই নয় যে ভবিষ্যৎ এও কোন পরিবর্তন ঘটবে না।

গবেষণায় যা দেখা গিয়েছে:

অনেকগুলো জরিপে দেখা গেছে যে ভিটামিন-ডি এবং কভিড সংক্রমণের পরিণাম – এ দুয়ের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এগুলো হচ্ছে পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া প্রমাণ। এর অর্থ হলো এখানে কভিড আক্রান্ত হবার পর ভিটামিন-ডি ঘাটতি আছে এমন লোকদের ক্ষেত্রে কি ঘটেছে, তার সাথে উচ্চতর মাত্রার ভিটামিন ডি আছে এমন লোকদের কি ঘটেছে – তারই তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু এখানে রোগীদের ওপর অন্য যেসব প্রভাবক কাজ করেছে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এগুলো তাই সর্বোচ্চ স্তরের বা ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ তথ্যপ্রমাণ নয়। সেটা পেতে হলে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত ট্রায়াল চালাতে হয় – যাতে কিছু লোককে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি দেয়া হয়, অন্য আরো কিছু লোককে দেয়া হয় একটি ‘ডামি’। যাতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে চিকিৎসার যে ফল পাওয়া যাচ্ছে – তা ওই বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগের কারণেই হচ্ছে।

তবে এটা ঠিক যে পর্যবেক্ষণবিত্তিক জরিপে দেয়া যায়, কিছু গোষ্ঠীর মানুষদের ভিটামিন ডি ঘাটতি থাকার এবং কভিডে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। যেমন – যারা বয়স্ক মানুষ, যারা মোটা হয়ে গেছেন, বা কৃষ্ণাঙ্গ বা দক্ষিণ এশিয়ান জনগোষ্ঠীর মানুষ যাদের ত্বকের রঙ অপেক্ষাকৃত কালো বা বাদামী।

কিন্তু ভিটামিন-ডির ঘাটতির সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন সম্পর্ক আছে কিনা তা শুধু যথাযথ গবেষণার পরই বলা সম্ভব।বর্তমানে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে এরকম একটি জরিপ চলছে।

সূত্র: বিবিসি