জাতীয় স্বাস্থ্য

মানুষ যেভাবে কক্সবাজার-সিলেটে যাচ্ছে সংক্রমণ তো বাড়বেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কিছুদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংত্রুমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ নিয়ে কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘ইদানীং আমাদের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি মাস্ক না পরি, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখি, সংক্রমণ তো বাড়বেই।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ যেভাবে কক্সবাজার যাচ্ছে, সিলেটে যাচ্ছে, যেভাবে সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, মাস্ক পরার বালাই নাই, সামাজিক দূরত্বের বালাই নাই—সংক্রমণ তো বাড়বেই। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে আগের তুলনায়।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বছরব্যাপী যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। এখন কিন্তু আমাদের আবারও সজাগ হতে হবে। করোনা কিন্তু চলে যায়নি। করোনা যখন যাবে তখন আমরা সবাই জানবো। শুধু বাংলাদেশ না, গোটা পৃথিবী থেকে দূর হলে বাংলাদেশ নিরাপদ হবে। কাজেই এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েই ভাবা উচিত না যে করোনামুক্ত। ভ্যাকসিন নিলেই করোনামুক্ত হবে না। ভ্যাকসিন একটা সুরক্ষা। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর সময় লাগবে সুরক্ষা তৈরি হতে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগে করোনা থেকে সুরক্ষা তৈরি হবে না।’

‘করোনা দেখিয়ে দিলো স্বাস্থ্য খাতে মনোযোগী না হলে পৃথিবীর কোনো উন্নয়ন- অগ্রগতি সম্ভব না। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ১০ বছরে যতটুকু এগিয়ে যাওয়া হয়েছিল, আবারও এক করোনা ১০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরো পৃথিবীর অঙ্কে সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব দেশ পেয়েছিল বলে বাংলাদেশ ভালো আছে। অর্থনৈতিকভাবে বেশ ভালো আছে। ধনাত্মক সূচকে আছে দেশ, পৃথিবীর অনেক দেশ ঋণাত্মক সূচকে চলে গেছে। করোনা আজকে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা আমরা আবারও দিতে পারছি। আমরা জানি, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হয়েছে করোনার কারণে। আমরা সব জায়গায় সেবা সেভাবে দিতে পারিনি করোনার কারণে। কিন্তু এখন আমরা আবারও বাউন্সব্যাক করেছি। সব ক্ষেত্রে বাউন্সব্যাক করেছি’, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যা ছিল, আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আমাদের মূল বিষয় হচ্ছ—আমরা সমস্যা ফেলে রাখিনি, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী সব সময় গাইড করেছেন, অর্থের জোগান দিয়েছেন। আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি এখন, আমাদের আশপাশে অনেক দেশ আছে তারা এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। এখনও সেভাবে রোলআউট করতে পারেনি জনগণের কাছে। আমরা প্রায় ৪০ লাখের কাছাকাছি ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলেছি এবং ৫০ লাখের বেশি নিবন্ধন হয়ে গেছে। কাজেই ভ্যাকসিনেও আমরা ভালো করেছি। সব ঠিক থাকলে আমাদের প্রোগ্রাম যেভাবে করা আছে, আগামীতে ইনশাল্লাহ সব ঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।’