দুর্দান্ত শুরুর পর মুহূর্তের ভুলে সব হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। দুই গোল হজমের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল এলচে। তরুণ মিডফিল্ডার গাভি দলকে হারতে তো দেনইনি, এমনকি ড্রর ফাঁদেও আটকে থাকতে দেননি। একটি গোল করেছেন, আরেকটি গোল করিয়েছেন নিকোলাস গঞ্জালেসকে দিয়ে। তাঁর এমন নৈপুণ্যেই এলচেকে ৩-২ গোলে হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। আর গাভির নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়েছে গোটা ক্যাম্প ন্যু। গাভি, গাভি চিৎকারে কান পাতা দায় হয়ে যাচ্ছিল যেন!
আর হবে না-ই বা কেন? ১৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার দুর্দান্ত তো খেলেছেনই, বার্সার জার্সি গায়ে নিজের প্রথম গোল করার পথে এক তালিকায় পেছনে ফেলেছেন সাবেক অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। বার্সার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার তালিকায় মেসিকে সরিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন গাভি।
মেসি ১৭ বছর ৩৩১ দিন বয়সে বার্সার হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেছিলেন। আর গাভি করলেন ১৭ বছর ১৩৫ দিন বয়সেই। ক্লাব ইতিহাসে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন গাভি। তার ওপরে আছেন কেবল আনসু ফাতি (১৬ বছর ৩০৪ দিন) এবং বোজান (১৭ বছর ৫৩ দিন)।
গোলটা হয়েছিলও দেখার মতো। ক্যাম্প ন্যু-র অনেককেই হয়তো চোখ কচলে দেখতে হয়েছে, মেসি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে খেলা শুরু করলেন না তো আবার! মাঝমাঠ থেকে বল ধরে চকিতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এলচের ডি বক্সের দিকে দৌড়াতে থাকেন গাভি। পথে একে একে বাধা আসতে থাকে, কিন্তু গাভিকে আটকায় সে সাধ্য কার! পরে বক্সের একটু বাইরে থেকে ডান পায়ের মাপা শটে পোস্টের নিচের কোনা বরাবর গোল করেন গাভি। আর তাতেই ছাড়িয়ে যান মেসিকে।
গোল করে-করিয়ে কোচ জাভির প্রশংসাটাও কুড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে জাভি তার পারফর্ম্যান্সের মূল্যায়নে বলেছেন, ‘সে দুর্দান্ত খেলেছে। তার উচ্চাভিলাষ আর ব্যক্তিত্ব, গোল করা, করানোর ক্ষমতার কারণে তাকে দলে পাওয়াটা দারুণ। সে দলের ভবিষ্যৎ, তবে শুধু সে একা নয়। আরাউহো, বালদে, নিকো, আবদে। তারাও দলের ভবিষ্যৎ, এ প্রজন্মটা দারুণ।’